নিজস্ব প্রতিবেদন: চতুর্থ ভোট চলাকালীন শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। ক্ষমতায় এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার সাসপেন্ড করল কোচবিহারের পুলিস সুপার দেবাশিস ধরকে (Debashis Dhar)। একইসঙ্গে ওই ঘটনার তদন্ত করতে চলেছে নবান্ন (Nabanna)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলখুচির (Sitalkuchi) জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় সমিউল মিয়াঁ, মণিরুল মিয়াঁ, হামিদুল মিয়াঁ এবং নুর ইসলাম মিয়াঁ নামে ৪ গ্রামবাসীর। কোচবিহারের পুলিস সুপার দেবাশিস ধর বলেছিলেন, প্রায় ৩০০ জন ঘিরে ধরেছিল বাহিনীকে। শূন্যে গুলি চালিয়েও তাদের সংযত করা যায়নি। আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিতে চেয়েছিল ভিড়। ফলে, গুলি চালাতে বাধ্য হন জওয়ানরা। তবে এসপি-র দাবি মানতে চাননি তৃণমূল নেত্রী। গোটা ঘটনা অমিত শাহের ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভোটে জয়লাভের পরও মমতা বলেছিলেন,''কোচবিহারের এসপি বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। সব দেখে নেব।'' ফলে কোচবিহারের দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে বলে প্রত্যাশা ছিলই। মমতা শপথ নিয়ে নবান্নে ফেরার দিনেই তা ঘটল। সাসপেন্ড করা হল দেবাশিসকে। তাঁর জায়গায় এলেন কে কান্নান। ভোটের সময় তাঁকে সরিয়েই দেবাশিস ধরকে এনেছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।    


মমতার উস্কানিতে শীতলকুচিতে বাহিনীর উপরে তৃণমূলের লোকেরা চড়াও হয়েছিল বলে দাবি করেছিল বিজেপি (BJP)। নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেছিলেন,''এটা দিদির ছাপ্পাভোটের মাস্টার প্ল্যানের অংশ।'' অন্যদিকে, অমিত শাহের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন মমতা। বলেছিলেন,  ''২০-২২ বছরের ছেলেদের মেরে দিয়েছে। ষড়যন্ত্র করে মারা হয়েছে। এসপি-র সঙ্গে বসে ষড়যন্ত্র করেছে বিজেপি। আমি এটার তদন্ত করাবই। আসল ঘটনা বের করে আনবই।''


আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্ট দ্রুত পাঠান নইলে...রাজ্যকে কড়া চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের