নিজস্ব প্রতিবেদন: 'বিশৃঙ্খলাকারী' নামে তৃণমূল কর্মীদের বেআইনিভাবে আটক করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) আইনি চিঠি পাঠাল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার কথা জানাল তারা। এর পাশাপাশি বীরভূমের পুলিস সুপার পদে নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিজেপির স্বার্থেই তা করা হয়েছে বলে দাবি রাজ্যের শাসক দলের।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আসানসোলে 'ট্রাবলমঙ্গার' নাম দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বেআইনিভাবে আটক ও শাসানি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার নির্বাচন কমিশনকে আইনি চিঠি পাঠাল তারা। আইনি চিঠিতে তৃণমূলের (TMC) বক্তব্য,''২৬ এপ্রিল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটে অবাধ ও  সুষ্ঠু ভোটে বাধা দিতে বেআইনিভাবে তৃণমূল কর্মীদের আটক করা হয়েছিল। বীরভূমেও তেমনটা করা হচ্ছে। সপ্তম ও অষ্টম দফার আগে 'বিশৃঙ্খলাকারী'দের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুদীপ জৈন। এটা বিস্ময়কর, নিজেদের মতো করে 'বিশৃঙ্খলাকারী' ভেবে নিয়েছেন সুদীপ জৈন ও নির্বাচন কমিশন। এই ধরনের সংজ্ঞাহীন বিষয়ের সুযোগ তোলা হচ্ছে। তালিকা খতিয়ে দেখেননি পর্যবেক্ষকরা। চোখ বন্ধ করে নির্দেশ পালন করছেন নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। এর আগেও দেখা গিয়েছে, বেআইনিভাবে যাদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ নেই।''


তাদের সঙ্গে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে তৃণমূল। চিঠিতে বলা হয়েছে,''বিজেপির দাগি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। অষ্টম দফার আগেও তৃণমূল কর্মীদের আটকের হুমকি দিয়েছে পুলিস। ভোটের আগে আগাম 'প্রিভেন্টিভ ডিটেনশনে'র নামে একতরফাভাবে গ্রেফতারি বা আটক আদতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণ। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে কেন্দ্রের ক্ষমতাশীল সরকারের নির্দেশে এই ধরনের পক্ষপাত করা হচ্ছে। ফৌজদারি বিধির ১৫১ ধারায় মেনে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। লঙ্ঘন করছে সাধারণ মানুষের অধিকার। ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৯ (১)(জি), ২০ ও ২১ অনুচ্ছেদের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে। তা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩৪২ ও ৫০৬ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।''


শেষ ভার্চুয়াল সভায় খোদ তৃণমূল নেত্রী নাম না করে নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁকে বীরভূমের সুপার পদ থেকে অপসারণ চেয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি,''২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এক দোকানদারকে একাধিকবার চড় মেরেছিলেন নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। তা ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল। সম্প্রচারিত হয়েছিল বিভিন্ন চ্যানেলে। সেই তাঁকে বীরভূমের পুলিস সুপার করা হয়েছে। নগেন্দ্রর অতীত জেনেও ওই পদে নিয়োগ করা উচিত হয়নি। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া বাঞ্চনীয়। তাঁর নিয়োগ জরুরি অবস্থার সামিল। আর তা করা হয়েছে বিজেপির স্বার্থে।''


পরিশেষে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তারা জানিয়েছে,''ফৌজদারি বিধির ১৫১ ধারায় প্রিভেন্টিভ গ্রেফতারির নামে বেআইনি আটক করা যায় না। বেআইনিভাবে আটক করা হয়ে থাকলে ছেড়ে দেওয়া হোক। তৃণমূল কর্মীদের এভাবে হুমকি দেওয়া যেতে পারে না। কোনওরকম হুমকি বা বেআইনি আটকের ঘটনা ঘটলে সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টে যেতে বাধ্য হব।''   


আরও পড়ুন- West Bengal Election 2021: Covid Vaccine থেকে কাটমানি নিচ্ছে মোদী সরকার, অভিযোগ Abhishek-র