নিজস্ব প্রতিবেদন: নজিরবিহীনভাবে দু’দিন ধরে মুলতুবি বিধানসভার অধিবেশন। এখানেও রাজ্যপালের ভূমিকাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালো রাজ্য সরকার। অভিযোগ, বেশ কিছু বিল রাজভবনে আটকে। ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ সই করছেন না রাজ্যপাল। আগামিকালই তার জবাব দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আজ, বুধবার সকাল সকাল টুইট করে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জগদীপ ধনখড় জানান, তিনি সংবিধান মেনেই তাঁর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। রবার স্ট্যাম্প বা পোস্ট অফিস তিনি কোনওটাই নন। সংবিধানের এক্তিয়ার মেনেই বিলগুলি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দেরি হওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। রাজ্যপাল এর আগে অভিযোগ এনেছিলেন, বিল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট তথ্য চাওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।  বিলের ব্যাখ্যা সরকার দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ওই বিলগুলির মধ্যে আটকে রয়েছে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কমিশন ফর দ্য শিডিউলড কাস্টস অ্যান্ড শিডিউলড ট্রাইবস বিল’, ‘প্রিভেনশন অব লিনচিং বিল ২০১৯’।



আরও পড়ুন- গুজরাটে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বাংলার পাঁচগুণ, পরিসংখ্যান পেশ মমতার


মঙ্গলবার নজিরবিহীনভাবে ২ দিনের জন্য অধিবেশন স্থগিত করেন স্পিকার। যুক্তি দেওয়া হয়েছে, রাজভবনে আটকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল। সেগুলি পেশ করা যাবে না। সে জন্য অধিবেশন স্থগিত রাখা হচ্ছে। তপসিলি জাতি-উপজাতির উন্নয়নে একটি কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর এই সংক্রান্ত বিল পাঠানো হয় রাজভবনে। রাজ্যপালের সম্মতির পর বুধ ও বৃহস্পতিবার এই বিল পেশ হওয়ার কথা ছিল বিধানসভায়। তারপর আলোচনা। কিন্তু রাজভবনের সচিবালয় থেকে বিল ফেরত না আসায় দুদিন বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল বিলে সম্মতি না দেওয়ায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সরকার।



ফিরহাদ হাকিম বলেন,''মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিলের খসড়া তৈরি করা হয়। সেই বিল পাঠানো হয় রাজ্যপালের সম্মতির জন্য। রাজ্যপাল সম্মতি দিলে সেই বিল বিধানসভায় পেশ করা হয়। তারপর ওই বিল নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর আবার রাজ্যপালের কাছে ফিরে যায় সেই বিল। রাজ্যপাল সই করে পাঠালে সেই বিল পাশ হয় বিধানসভায়। এর পর সেই বিল আইনে রূপ পায়।''