অয়ন ঘোষাল: ডিএ আন্দোলনে সুর আরও চড়াল সরকারি কর্মচারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় ডিএর দাবিতে স্লোগান দিলেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে এলেন শুভেন্দু অধিকারী-সোনালী গুহরা। নো ভোট টু মমতা স্লোগান তুললেন বিরোধী দলনেতা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ, মঞ্চে যোগেন-শুভাপ্রসন্নরা  


কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় হাজরা থেকে মিছিল করেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। হরিশ মুখার্জি রোডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ও কালীঘাট দমকলের সামনে দিয়ে হাঁটল মিছিল। সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ অভিষেকের নাম না করে বলেন, উনি একজন সাংসদ ছাড়া আর কিছু নন। রাজ্য সরকার বলেছিল ওটি স্পর্শ্বকাতর এলাকা। আদালত প্রশ্ন করেছিল কেন ওটি স্পর্শ্বকাতর এলাকা? রাজ্য সরকার এর কোনও উত্তর দিতে পারেননি। রাজ্যের মানুষদের জন্য এই রাস্তা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম। রাজ্য সরকারকে বলে দিতে চাই আমরা আলোচনায় বসে সমস্যার সামাধান করতে চাই। যতদিন আমাদের রাস্তায় বলে থাকতে বাধ্য করবেন ততদিন সরকারের দুর্ভোগ বাড়বে। আন্দোলন করছি পালস বুঝে। মানুষ কী চাইছেন তা বুঝি। কর্মচারী, শিক্ষকরা চাইছেন, সাধারণ মানুষ চাইছেন প্রশাসনটাকে স্তব্ধ করে দিন আপনারা। মানুষের অধিকার পেতে গেল, বেকার ছেলেদের চাকরি পেতে গেল লাগাতার ধর্মঘটের প্রয়োজন। আমরা সেই পথেই হাঁটব।


এদিকে, আজ সরকারি কর্মচারীদের সভায় হাজির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, লড়াই কাকে বলে আপনারা তা দেখাচ্ছেন। এতো সবে সকাল। এখনও দুপুর হয়নি। রাজ্য সরকারের কঙ্কালসার অবস্থা আপনারা গোটা দেশের সামনে তুলে ধরেছেন। অন্যান্য বিরোধী দলের মতো আদালতের নির্দেশ হাতে নিয়ে আপনাদেরকেও লেডি কিমের বাড়ির সামনে দিয়ে আপনাদের মিছিল করতে হয়েছে। লেডি কিমের গুণধর আলালের ঘরের দুলাল, নাম তার কয়লা ভাইপো। তিনি টাকা পয়সা খান না। তিনি কয়লা, পাথর, বালি খান। চাকরি বেচে টাকা খান। তার বাড়ির সামনে মিছিল করা যায় না! এটা কি ভারতের বাইরে? রাজ্যের মানুষকে বলব যেখানেই খুন হবে সেখানেই আমাকে খবর দেবেন। আমি ওই মৃতদেহ নিয়ে কালীঘাটের গলিতে ঢুকব। কার কত ক্ষমতা আছে দেখব। কালীঘাটের আইসি আবার এসিপি। অদ্ভূত। 


সরকারি কর্মচারীদের শুভেন্দু আহ্বান করেন, আপনাদের এই লড়াইয়ে জিততে হবে। পুলিসদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, অনেক কিছুই আপনাদের দেখতে হবে। সবে তো শুরু। আমার উপরে দায়িত্ব ছিল। গণদেবতা ওঁকে হারিয়ে দিয়েছে। এখন উনি কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার। এই স্বৈরাচারী শাসককে প্রাক্তন আমাদের করতেই হবে। নিজের দলের ভোট চাওয়ার আগে বলতে হবে নো ভোট টু মমতা। 


ডিএ আন্দোলন একশো দিনে পড়ল। এদিনেই হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিল করলেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে এর জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হয়। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের এক সদস্য অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের দাবিগুলো সবটাই সামাজিক দাবি। ডিএ বাড়ায় ১৭ টাকা দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩৬ শতাংশ ডিএ বাড়লে দৈনিক ২০৪ টাকা মজুরি বৃদ্ধি যদি পায় তাহলে মাসে ৬ হাজার টাকা মাইনে বাড়বে সরকারি কর্মচারীদের। এই রোজগারটাই রাজ্য সরকার বন্ধ করে রেখেছে।  ৬ লাখ শূন্যপদ পূরণ হলে অন্তত ৩০ লাখ মানুষ উপকৃত হবেন।


সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, এই আন্দোলনের নিন্দা করছি। কারণ রাজ্য সরকার বারবার বলছেন তাদের কাছে টাকা নেই। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেকেই প্রাইভেসির অধিকার রয়েছে। কারও বাড়ির সামনে যদি মিছিল হয় তাহলে সেটা তো ঠিক নয়। ডিএ আন্দোলনকারীরা মূলত সিপিএমের লোক। যারা এসইউসির সমর্থক তারা আলাদা হয়ে গিয়েছেন। এই আন্দোলন অযৌক্তিক।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)