Tajpur Port: বিজয়ী সম্মিলনীতে বিনিয়োগ! তাজপুরে আদানি গোষ্ঠীকে বন্দর তৈরির অনুমতি রাজ্যের
ইকোপার্কে আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানির ছেলে কিরণের বন্দরের কাগজপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা ও বিশিষ্টজনেরা।
সুতপা সেন: তাজপুরে সমুদ্রবন্দর তৈরি করছে আদানি গোষ্ঠী। নিউটাউনে বিজয়া সম্মিলনীতে গৌতম আদানির ছেলে কিরণের হাতে বন্দর তৈরির অনুমতিপত্র তুলে দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা ও বিশিষ্টজনেরা।
পূর্ব মেদিনীপুরে তাজপুরে রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য় সরকার। ১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল বিধানসভায়। সেই বৈঠকেই তাজপুরে বন্দর তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। বস্তুত, পনেরো হাজার কোটি টাকা তাজপুরে প্রাথমিকভাবে পরিকাঠামোর তৈরির কাজ করবে রাজ্যই। কিন্তু সমুদ্র বন্দরের উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে প্রয়োজন আরও দশ হাজার কোটি টাকা। নবান্নের দাবি, তাজপুরে বন্দর তৈরি হবে প্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে পঁচিশ হাজার মানুষের।
চলতি বছরের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। তখন তাজপুর বন্দর নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। ফলে রাজ্যের যে আদানি গোষ্ঠীর বিনিয়োগ করতে চলেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিল রাজ্য সরকার। এবার সেই বিনিয়োগ সরকারি সিলমোহর পড়ল। এ রাজ্যে এখন একমাত্র বন্দর হলদিয়া। কিন্তু নানা কারণে এই বন্দরে পণ্য় ওঠা-নামা সমস্যা লেগেই থাকে। তারওপর হলদি নদীতে ঠিকমতো ড্রেজিং করা হয় না বলে অভিযোগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, স্রেফ জলপথে বাণিজ্যে বা কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নয়, তাজপুরে সমুদ্রবন্দর তৈরি হলে চাপ কমবে হলদিয়া বন্দরে। এদিন অনুমতিপত্র পাওয়ার পর, কিরণ আদানি তাজপুরে দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: SSC: ২২ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ, পর্ষদের সংরক্ষণ তালিকা অনুমোদন রাজ্যের
এদিন সকালে ইকোপার্কেই রাজ্য সরকারের পাল্টা বিজয়ী সম্মিলনী করেন দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। যাঁরা প্রাতঃভ্রমণে এসেছিলেন, তাঁদের কার্যত ডেকে এনে খেতে বসানো হয়। বাদ যাননি গাড়ির চালক ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরাও। ঝিলপাড়ে বসেছিল দক্ষিণ ভারতীয় কুইজিনের লাইভ কাউন্টার। মেনুতে ছিল চানা বাতুরা, প্লেন ধোসা, মশলা ধোসা, উত্তপম, ইডলি, সাদা বড়া, দই বড়া।