নিজস্ব প্রতিবেদনে: আমফানে রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ আড়াই হাজার কোটি টাকা। নবান্নে কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে বৈঠকে এই হিসাবই দিল রাজ্য সরকার। উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আমফান বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে পর্যবেক্ষণ করেছে ৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। শনিবার বিকেলে নবান্নে প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব।  সেখানেই বিভিন্ন দফতরের তথ্য সমৃদ্ধ রিপোর্ট পেশ করেন রাজীব সিনহা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২ দিনের সফর দুই চব্বিশ পরগনায় আমপানবিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে সোজা নবান্ন এদিন হাজির হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মুখ্যসচিবের সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক। আলোচনা হয় অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে আমপান-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। সূত্রের খবর, আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তার খতিয়ান তুলে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় দলের কাছে। করোনার কারণে দুই চব্বিশ পরগনার অধিকাংশ মানুষ এমনিতেই রোজগারহীন ছিলেন। তার ওপর আমফানের ঘা। সহায়সম্বলহীন অবস্থা দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলোর। 


নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যে ২১ লক্ষ ২২ হাজার গবাদি পশু মারা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৪০টি স্কুল ও ৩০১টি কলেজ। ভেঙেছে প্রায় ২৫৪ কিলোমিটার নদীবাঁধ ও ৪ কিলোমিটার সমুদ্রবাঁধ। এছাড়া ব্যাপক চাষাআবাদের ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে ৮ হাজার মাছ ধরার নৌকো। ধ্বংস হয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার হেক্টর বনভূমি। মোট ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা।     


ত্রাণ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। এদিন তাজবেঙ্গলে বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে আমফানের ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই বৈঠকের পরই বিরোধীরা একসুরে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে।  বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাত্‍ করে বিরোধীদের রাস্তায় নেমে কাজ করার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে তৃণমূল।


আরও পড়ুন- Unlock 1: ৩০ জুনের মধ্যে সেরে ফেলুন এই ৫টি কাজ