মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে `কেস টু কেস` জবাব দিতে জেলা থেকে তথ্য জোগাড়ে নবান্ন
মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে শাসকের শাসন চলছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'ভোট পরবর্তী হিংসা' নিয়ে হাইকোর্টের রিপোর্টে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে। ওই রিপোর্টের জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য সরকার। রিপোর্টে উল্লেখিত প্রতিটি ঘটনা ধরে ধরে উত্তর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে শাসকের শাসন চলছে। রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় মদত দিচ্ছে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। হিংসা প্রতিরোধে কোনও পদক্ষেপ করছে না প্রশাসন। শুক্রবার ওই রিপোর্ট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে থাকা প্রতিটি ঘটনার বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিসকে। ২২ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর মধ্যে সব ক'টি ঘটনার রিপোর্ট না পাওয়া গেলে আদালতের কাছে আরও সময় চেয়ে নিতে পারে রাজ্য।
কমিটির সদস্যদের নিয়েও অসন্তুষ্ট নবান্ন। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, কমিটিতে এমন লোকও রয়েছে যিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজেপি হিসেবে পরিচয় দেন। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে গতকাল অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন,'কয়েকটি সংস্থার অপব্যবহার করে বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।' রিপোর্টে যেভাবে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের 'দাগী দুষ্কৃতী' তালিকায় রাখা হয়েছে, তাও ভালো চোখে দেখছে না রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, তাঁদের আলাদা করে মানহানির মামলা করতে বলা হয়েছে। দরকারে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বিকল্পও হাতে রাখছে সরকার।
আরও পড়ুন- কলকাতা হাইকোর্টে ভার্চুয়াল শুনানিতে নেট-বিভ্রাট,'সার্কাস চলছে',মন্তব্য বিচারপতির