নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের কল্পতরু মমতা। ক্লাবের পর এবার পুজো কমিটিগুলোকেও অনুদান দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ (সোমবার) নজরুল মঞ্চে রাজ্যের পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে আয়োজিত হওয়া এক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, কলকাতা-সহ রাজ্যের মোট ২৮ হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে রাজ্য সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মমতার ‘ডিজিটাল বিপ্লব’! ফেক নিউজ ধরিয়ে দিতে পারলেই মিলবে সরকারি পুরস্কার!


অর্থাত্ শারদীয়া উত্সবে অনুদানের জন্যই রাজ্য সরকার ব্যয় করবে ২৮ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে সরকারের আয়োজিত কার্নিভালও। উল্লেখ্য, এবার বিসর্জনের কার্নিভাল হবে ২৩ অক্টোবর। গত বারের মতো এবারও রেড রোডেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করবে সরকার। সূত্রের খবর, এবার এই বিসর্জন কার্নিভালে অংশগ্রহন করবে ৫৫ থেকে ৭৫টি বড় বড় পুজো কমিটি।



এছাড়াও, পুজোর জন্য প্রত্যেক কমিটি যে পরিমাণ বিদ্যুত্ ব্যবহার করবে, সেখানেও ২৩ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী, দমকলের জন্যও আলাদা করে কোনও টাকা খরচ করতে হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে পুজোর আগে এমন অনুদানের কথা শুনে খুশি পুজো উদ্যোক্তারা।


আরও পড়ুন- ছেলে চিকিত্সক, অনাদরেই মৃত্যু মায়ের


এদিন নিজের বক্তব্যের শুরুতেই সম্প্রীতির বার্তা দিতে শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “কয়েক বছর ধরেই পুজো এবং ইদ একসঙ্গে পড়ছে। আপনারা যেভাবে পুজো এবং ইদ একসঙ্গে পালন করেছেন তা সত্যিই দেখার মতো। পুজো আমাদের গর্ব। এবারও একই রকম শান্তিপূর্ণ ভাবে উত্সব পালন করবেন। ২১ তারিখ মহরমের মিছিলও যেন শান্তিপূর্ণই হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন”।



প্রসঙ্গত, গতবার মহরমের শোভাযাত্রা আর বিসর্জন একদিনে না করার নির্দেশিকা জারি করে বিপাকে পড়েছিল সরকার। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেকই চটেছিলেন সরকারের এই সিদ্ধান্তে।  হাইকোর্টও চরম ভর্ত্সনা করেছিল। তবে এবার কোনও রকম বিতর্কে না জড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন ১৯ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বিসর্জন হবে। আর ২৩ তারিখ হবে গ্র্যান্ড কার্নিভাল। মহরম ২১ সেপ্টেম্বর হওয়ায় গত বারের মতো এবার বিসর্জনের সময় আইন শৃঙ্খলাগত কোনও রকম কোনও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।