জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি ও ধর্ষণ বিরোধী কড়া আইন চাইলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মেয়ো রোডে টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে হওয়া সভায় ওই কথা বলেন অভিষেক। আরজি কর নিয়ে যে প্রতিবাদ হচ্ছে তা বাংলাতেই সম্ভব বলে মন্তব করেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- অবরোধকারীদের তুলতে পুলিসের লাঠি-কাঁদানে গ্যাস, রণক্ষেত্র মানকুন্ডু স্টেশন


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে। আমরা যতদিন ক্ষমতায় এসেছি ততদিন বলেছি এই বনধের বিরুদ্ধে আমরা। বিজেপি নেতৃত্বকে বলব প্রতি বছর ২৮ আগস্ট বনধ ডাকুন। কী করে বনধ প্রতিহত করতে হয় তা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জানে। তৃণমলের বিরুদ্ধে যত আঘাত এসেছে ততই তারা শুদ্ধ হয়েছে। একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের মানুষ বিচার চাইছে। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ যারা লাশের রাজনীতি করছে তাদের প্রকৃত চেহারাটা উন্মচিত হয়েছে।


বিজেপিকে বিঁধে অভিষেক বলেন, যাদের আমলে উন্নাও, কাঠুয়া, হাথরস হয়েছে তারা মহিলা সুরক্ষার কথা বলেন কী করে! যারা মুখ্যনমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন তাদের একটা তথ্য দেব। গত ১০ বছরে মহিলাদের বিরুদ্ধে সবচেযে বেশি অত্যাচার হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। তার পরেই রয়েছে মধ্য়প্রদেশ, রাজস্থান ও মহারাষ্টে। উত্তর প্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মধ্যপ্রদেশ,রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ আগে দাবি করুন। তারপরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করবেন।


আরজি করের ঘটনা হওয়ার পর থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আসছেন দেশে ধর্ষ বিরোধী কড়া আইন চাই। এআমনকি তিনি এমনও বলেছেন, যারা ধর্ষণে দোষী তাদের এনকাউন্টার করে মেরে ফেলা উচিত। এদিন সভায় অভিষেক বলেন, ভারতে ধর্ষণ বিরোধী কড়া আইন হওয়া উচিত কিনা বলুন? যারা নবান্ন অভিযান করছে তাদের বলব সংসদ অভিযান করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করুন। দেখি কত ক্ষমতা। ভারতে যদি ধর্ষণবিরোধী আইন আসে তাহলে সবথেকে বেশি জেলে যাবে বিজেপি লোকজন। কারণ ওদের সবাই চোর ছ্যাঁচোড়। যারা রাত দখল করেছিল তাদের দাবি ছিল যারা দোষী তাদের শাস্তি দিতে হবে। নেই নেই করে সিবিআইয়ের হাতে ১৪ জদিন হয়ে গেল। কেন সন্দীপ ঘোষ এখন গ্রেফতার হয়নি তার উত্তর চাই। বাংলা মণিপুর নয়। এখানে কোনও অন্যায় হলে মানুষ প্রতিবাদ করে। কেউ বাধা দেয় না। কৃষকরা যাতে দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য রাস্তায় পেরেক পুঁতে রেখেছিলেন। আপনারা কীভাবে কথা বলেন। বিজেপি বলছে, দাবি এক দফা এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। আমি বলি দাবি এক, দফা এক, ধর্ষণ বিরোধী আইন চাই। রাতারাতি এই সরকার নোটবন্দি করতে পারে। তাহলে ধর্ষণ বিরোধী আইন আনেন না কেন।


গত ৯ তারিখ  ধর্ষণ হয়েছে। ১০ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সিবিআই এই তদন্ত হাতে নিতে পারে। অভিষেক বলেন, সিবিআই যত তদন্ত করেছে ,কী হয়েছে? যারা এই ঘ'নার সঙ্গে জড়িত তাদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হোক। কিন্তু তার পাশাপাশি দরকার একটি ধর্ষণ বিরোধী আইন। এই আইন যদি কেন্দ্র প্রণোয়ন না করে তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস দিল্লিতে বৃহত্তর আন্দোলন করবে। মানুষ রাস্তায় নামলে কেউ আটকাতে পারবে না।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)