তন্ময় প্রামাণিক


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ মারাত্মক। ভর্তির জন্য ৩ লাখ টাকা জমা দিতে না পারায় অ্যম্বুল্যান্সে পড়ে থেকে বেসরকারি হাসপাতালের দোরগোড়ায় মৃত্যু রোগীর। তমলুকের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা করোনা রোগীকে হাসপাতালে এসেছিল তার পরিবার।


ওই ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কলকাতার রুবির কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল হেলথ রেগুলেটরি কমিশন। জি ২৪ ঘণ্টাকে একথা জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের ইতিহাসে এই প্রথম এরকম কোনও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা।


আরও পড়ুন-টানা ২৪ বছরের লড়াইয়ে ঘুচেছিল 'চর' বদনাম, এবার ক্ষতিপূরণ পেলেন ইসরোর বিজ্ঞানী 


বুধবার অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'এরকম ঘটনা বেনজির, অমানবিক ও দুঃখজনক। বুধবার আমরা সব সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে ওই খবর দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থেকে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। তার আগে তিনি যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেখান থেকে তথ্য তলব করা হচ্ছে। সেই তথ্য আমাদের হাতে চলে এলেই আগামী ১৯ অগাস্ট আমাদের শুনানির দিন ধার্য আছে। এই প্রথম কমিশন দ্বারা স্বতপ্রণোদিত হয়ে কোনও মামলা দায়ের হল।'


কী হয়েছিল আসলে!


তমলুকের ওই মহিলার স্বামীর করোনায় মৃত্যু হয়। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই মহিলাও। তাঁকে ভর্তি করা হয় পার্ক সার্কাসের একটি নার্সিংহোমে। সেখানে তাঁর করোনা টেস্ট হয়। সোমবার টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সেদিন রাতেই তাঁকে আনা হয় রুবির কাছে ওই হাসপাতালে।


রোগীর পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তির জন্য তাদের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা চাওয়া হয়। তারা ৮০ হাজার টাকা জমাও দিয়ে দেন। কিন্তু ব্যাঙ্কের সমস্যা থাকায় বাকি টাকা সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া যায়নি। পরে তারা আরও ২ লাখ টাকা হাসপাতালে জমা দেন। ততক্ষণে অ্যাম্বুল্যান্সেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এখন প্রশ্ন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বেড থাকলে কোভিড রোগীকে ভর্তি নিতে হবে। সেখানে টাকা জমা নেওয়ার প্রশ্ন আসে কীভাবে!


আরও পড়ুন-করোনায় প্রয়াত চিকিৎসক, হাসপাতালে বিল উঠেছে ১৯ লাখ! রিভিউয়ের আবেদন স্বাস্থ্য কমিশনের


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, রোগীর পরিবার ৮০ হাজার টাকা দিয়ে বেড বুক করেছিল। তাই ভর্তি না নেওয়ার প্রশ্ন নেই। তিন লাখ টাকা যেটা বলা হচ্ছে তা সম্ভাব্য খরচ। রোগীকে হাসপাতালে আনা হলে অ্যাম্বুল্যান্সেই আমাদের চিকিত্সকরা গিয়ে দেখেন তিনি মৃত। এই কারণেই রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।
এদিকে পারিবারে সদস্যরা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ৮০ হাজার টাকা দিয়ে বেড বুক করা হয়। রোগীকে হাসপাতালে আনা হয় রাত আটটা পঞ্চাশ নাগাদ। কিন্তু হাসপাতালের তরফে বলা হয় বাকী ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। কার্ডের লিমিট শেষ হয়ে যাওয়ায় ওই সময়ে টাকা দেওয়া যায়নি। পরে বাকী টাকা দিয়ে দেওয়া হয়। ততক্ষণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সেই।