রাজ্যে এলেন নতুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর, বিমানবন্দরে দেওয়া হল গার্ড অফ অনার
এদিন সকাল ৯টা৫০মিনিটে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে এলেন পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা জানাল রাজ্য সরকার। এদিন সকাল ৯টা৫০মিনিটে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু বসু, ব্রাত্য বসু। ছিলেন মুখ্যসচিব মলয় দে, ডিজি বীরেন্দ্র সিং।
জগদীপ ধনকর সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী। রাজস্থানের প্রাক্তন সাংসদ। রাজস্থানের ঝুনঝুনু লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১, নবম লোকসভায় সাংসদ ছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আরও ৫ রাজ্যের রাজ্যপাল বদলের ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও নাগাল্যান্ডে নতুন রাজ্যপালের নাম ঘোষণা করা হয়।
ভাঙচুর হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অভ্র সেনের গাড়ি
উল্লেখ্য, মেয়াদ শেষের সময়েই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কথা বলে যান প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। বিদায়ের আগেই বোমা ফাটিয়ে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর তোষণ নীতির জন্য পশ্চিমবঙ্গের শান্তি পরিস্থিতি বিঘ্নিত হচ্ছে।” রাজ্যপালের মুখে এহেন মন্তব্য শোনার পরই বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেরই বক্তব্য, একজন রাজ্যপালের মুখে এহেন মন্তব্য মানায় না। কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে তিনি পাল্টা কটাক্ষ করেন, “বিদায়ের আগে বিজেপির খাতায় পয়েন্ট বাড়ানোর জন্যই তিনি এমন বলছেন। তাঁর কার্যকালে রাজভবন বিজেপির কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে।” এইসব রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই সোমবার রাজ্যে এলেন নতুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।