নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর আদালতের স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ততক্ষণে যদিও নির্বাচনের ভবিতব্য নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। দুপক্ষের দড়িটানাটানিতে সুতোয় ঝুলছে নির্বাচনের ভাগ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিরোধীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। নির্বাচন কমিশনকে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত নথি আদালতে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। এর জেরেই তৈরি হয়েছে যাবতীয় অনিশ্চয়তা।


আইনজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে ছবিটা একদম স্পষ্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যত এবার চূড়ান্ত হবে আদালতেই। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে দরবার করা হচ্ছে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ও বিরুদ্ধে গেলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে তৃণমূল। ঠিক একইরকম ভাবে, ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বিজেপি অসন্তুষ্ট হলে তারাও শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবে। ফলে আদালতই বলবে শেষ কথা।


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের


তবে আইনজ্ঞদের একাংশ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আদালতের হস্তক্ষেপের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের প্রশ্ন, নির্বাচন প্রক্রিয়া একবার শুরু হয়ে গেলে তাতে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে কি? এক্ষেত্রে সংবিধানের সংবিধানের ২৪৩-এর 'O' ধারাকে হাতিয়ার করছেন তাঁরা। এই ধারা অনুসারে, একবার নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে, দেশের কোনও আদালত সেই প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু এক্ষেত্রে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ার পরেও কলকাতা হাইকোর্ট তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়ায়, প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


যদিও আইনজীবীদের আরেকটি অংশের মত, এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেকই কাজ করেছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, বিরোধীদের সব অভাব-অভিযোগ শুনে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বুধবার-ই হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, পঞ্চায়েত সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেন।


আরও পড়ুন, বাম-বিজেপিকে সুপ্রিম নির্দেশ: হাইকোর্টে যান


তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন যখনই হোক, তাতে মানুষেরই জয় হবে বলে সাফ জানিয়েছেন আত্মবিশ্বাসী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট কথা, বিরোধীরা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সেই চেষ্টা কখনও সফল হবে না।