নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মোকাবিলায় সদর্থক পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। তৃতীয় তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীদের শপথের অব্যবহিত পরেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারকে দায়িত্বের কথা স্মরণ করালেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। ফলে আরও একবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের প্রেক্ষাপট তৈরি হল রাজ্য রাজনীতিতে। সোমবার রাজ্যপাল জানালেন, পরিস্থিতিতে খতিয়ে দেখতে ওই এলাকাগুলিতে যাবেন।                  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংবাদিক বৈঠকে এ দিন রাজ্যপাল (West Bengal Governor) বলেন,''রাজ্য এখন গভীর সঙ্কটে। ভোট পরবর্তী হিংসা, লুঠতরাজ চলছে। উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে যাব। এটা আমার সাংবিধানিক কর্তব্য। আমি রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা করতে বলেছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত তাদের কাছ থেকে সাড়া পাইনি। মানুষের দুঃখ ভাগ করে নিতে চাই।'' 


গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য জীবন দিয়ে মানুষকে দাম চোকাতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। তাঁর কথায়,''গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য মানুষকে জীবন দিয়ে দাম দিতে হচ্ছে। কারণ তাঁরা ভোট দিয়েছেন। লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। মৃত্যু, সম্পত্তি ভাঙচুর ও লুঠ গণতন্ত্রের পরিপন্থী। এভাবে সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের বিকাশ হতে পারে না। এখন গুরুতর পরিস্থিতি। মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন।''


রাজ্যের বাইরে থেকেও লোকে তাঁর কাছে আর্তি করছেন বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। বলেন, ''বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্ষোভ ও উৎকণ্ঠার বার্তা আসছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবাদ দেখছি। গতকালই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উৎযাপন করেছি। কবিগুরু বলেছিলেন, হোয়ার মাইন্ড ইজ উইথআউট ফিয়ার অ্যান্ড হেজ ইজ হাই। কিন্তু, আমরা মাথা উঁচু করে থাকতে পারছি না। লজ্জায় নত হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ কাজকর্ম করতে পারছেন না। আইন-বহির্ভূত ব্যক্তিরা সক্রিয়।'' 


গোটা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ করেন রাজ্যপাল। বলেন,''প্রশাসন সদর্থক পদক্ষেপ করেনি। অল ইজ ওয়েল বলছে। ফিল গুড ফ্যাক্টর তৈরির চেষ্টা চলছে। অথচ বাস্তব পরিস্থিতি আলাদা। আমি সরকারের কাছ থেকে আশা করছি, আত্মসমালোচনা করুন। বাস্তব অবস্থা বুঝুন। মানুষের হৃত বিশ্বাস ফেরান।''


আরও পড়ুন- করোনা-কালে মাত্র ৬ মিনিটেই শপথ, দেশের মধ্যে এই প্রথম ভার্চুয়াল শপথগ্রহণ