বেআইনি `আয়ারাজ` থেকে `ইউনিয়নের দাদা`দের মাসিক আয় ১ লাখ!
শিশু চুরি কাণ্ডের পরও সরকারি হাসপাতালগুলিতে আয়া রাজ চলছেই।বিভিন্ন হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আয়াদেরই দাপট। তাঁরাই শেষ কথা। মেডিক্যালে শিশুচুরি কাণ্ডের পরই, বুধবার গভর্নিং বডির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও স্পেশাল অ্যাটেনডেন্ট বা আয়াকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে তাতে কি, আয়া রাজ চলছেই। সবটাই বেআইনি। তবু সেটাই সত্যি। আয়া না থাকলে ইউনিয়ন ও নেতাদের কী ক্ষতি? এক্ষেত্রে বড় হয়ে উঠছে এ প্রশ্নটাই।
ওয়েব ডেস্ক: শিশু চুরি কাণ্ডের পরও সরকারি হাসপাতালগুলিতে আয়া রাজ চলছেই।বিভিন্ন হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আয়াদেরই দাপট। তাঁরাই শেষ কথা। মেডিক্যালে শিশুচুরি কাণ্ডের পরই, বুধবার গভর্নিং বডির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও স্পেশাল অ্যাটেনডেন্ট বা আয়াকে আর ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে তাতে কি, আয়া রাজ চলছেই। সবটাই বেআইনি। তবু সেটাই সত্যি। আয়া না থাকলে ইউনিয়ন ও নেতাদের কী ক্ষতি? এক্ষেত্রে বড় হয়ে উঠছে এ প্রশ্নটাই।
মেডিক্যাল কলেজে একজন আয়া এক শিফট ডিউটি করলে রোগীপিছু ১৫০ টাকা হাতে পায়। মেডিক্যাল কলেজে প্রায় ২০০ জন আয়ার দায়িত্বে থাকে হাজার খানেক রোগী। সবমিলিয়ে আয়াদের দৈনিক রোজগার খুব একটা কম হয় না। রোগীপিছু ১৫০ টাকা হাতে পাওয়ার পর ২০ টাকা হাসপাতালের 'দাদা'দের নজরানা দিতে হয়। অবশিষ্ট ১৩০ টাকা থেকে একটি অংশ যায় কর্মী ইউনিয়নের নেতাদের পকেটেও। আয়ারা বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন রোগীপিছু ৮০-৯০ টাকা। অর্থাত্ গড়ে ১ হাজার জন রোগী ভর্তি থাকলে, রোজ 'ইউনিয়নের দাদা'দের পকেটে ঢুকছে কম করে ১ লাখ টাকা।
অথচ সরকারি সিদ্ধান্ত, হাসপাতালে আয়া বন্ধ। এরপরেও যে আয়াদের দাপট চলেছে, তা মেনে নিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি। তবে এবার কঠোর প্রশাসন। রোগীর সঙ্গে একমাত্র হাসপাতালে থাকতে পারবেন রোগীর রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়ই।