নিজস্ব প্রতিবেদন:  নাড্ডার সফরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। কেন্দ্রের তলব, রাজ্যপালের রিপোর্টের পর এবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেনে নিন কী বললেন তিনি



* সংবিধান রক্ষা করা আমার কর্তব্য তার জন্য় যতদূর যেতে হয় যাব। রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করাই আমার কাজ। 
* মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সংবিধানের আওতার বাইরে নন। তাঁরও সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে
* আমি সতর্ক করা সত্বেও রাজ্যে ক্রমাগত আই শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। 
* একজন দায়িত্বশীল মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে এমন ভাষা প্রয়োগ করেন। উনি ক্ষমা চাইলে ওরই সম্মান বাড়বে। আপনি এভাবে খেলবেন না
* যা ঘটল তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। মানবাধিকার দিবসেই এমনটা হল রাজ্যে। আমরা কোথায় যাচ্ছি
* ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের আচরণ সংবিধানের জন্য় অবমাননাকর। ডায়মন্ড হারবারের মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে। 
*  ভারতীয়দের কীভাবে বহিরাগত বলছেন, আমি আপনাকে সতর্ক করছি এটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। দয়া করে আগুন নিয়ে খলবেন না। 
* আপনি সংবিধান থেকে সরলে আমার দায়িত্ব শুরু হবে। 
* রাজ্যে মানবাধিকার বলে কিছু নেই। 
* রাজ্যের চারদিকে দুর্নীতি, বিরোধীরা প্রতিবাদের জায়গাই পাচ্ছেন না। বিরোধীদের সমস্ত কার্যকলাপ নৃশংসভাবে দমন করা হচ্ছে।
* রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজিপিকে যোগাযোগ করে বলেছি এমন ঘটনা যাতে না ঘটে। 
* কয়েকজন আমলা সরকারি চাকুরী না করে রাজনৈতিক কর্মী হচ্ছেন। ২১ জন আমলার নাম তালিকাভুক্ত করেছি। 


'শাসক দল হার্মাদ। গতকালই এই শব্দ ব্যবহার করে তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনখড় টুইটবার্তায় বললেন, 'রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমি চিন্তিত। আইন-শৃঙ্খলাভঙ্গের রিপোর্ট আসছে। শাসকদলের হার্মাদরা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়ে হামলা করেছে।' রাজ্যের পুলিসকে রাজনৈতিক পুলিস বলেও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। টুইটে বলা হয়েছে, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে মুখ্যসচিব এবং ডিজিপিকে তিনি বৃহস্পতিবার ভোরে সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও এ জাতীয় ঘটনা ঘটল।


পাশাপাশি কালই জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট পাঠান রাজ্যপাল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সফরে হামলার অভিযোগ ওঠে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে রাজ্যপালের দফতরে চিঠি পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল রিপোর্ট পাঠিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। জেপি নাড্ডার কনভয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল না বলেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।