ওয়েব ডেস্ক: সাত দফায় ভোট, অষ্টম দফায় রেজাল্ট। দীর্ঘ একমাস ভোট উৎসব কাটিয়ে আগামী ১৯ মে ভোটের ফলাফল। বাংলায় ফের মমতা না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় 'হ য ব র ল' জোট ক্ষমতায়, তা জানা যাবে সেদিনই। বঙ্গে ২০১৬ নিবর্বাচনে যা যা হল, তা বঙ্গ রাজনীতি তথা গোটা ভারতে একটা ইতিহাস, একটা বিরল নজির। রাশিয়াতেও দুই বিবাদমান দলের মধ্যস্ততা হয়েছিল, বাংলাতেও হল তাই। মুখে মানুষের জোট আর বুদ্ধ রাহুলের 'মালাবদলে' মানুষের কাছে স্পষ্ট তৃণমূলের মত একটা 'স্বৈরাচারী' সরকারকে সরাতে এটাই শেষ অপশন। কমিশনের ভূমিকা শাসক বিরোধীদের হাড্ডাহাড্ডিতে পত্রিকার পাতা থেকে টেলিভিশন ভোট নিয়েই সরগরম ছিল রাজ্য। সূর্যের উত্তাপকেও হার মানিয়ে দিয়েছিল এই গণতন্ত্রের উৎসব। ঢাক বেজেছে, গুড় বাতাসাও বেলানো হয়েছে, গরমে গ্লুকোজও ছিল, 'বড্ড চাপে' ভূত ভোটাররা এবার বিশেষ ফায়দা করতে পারেনি, দাবি বিরোধীদের। আর 'রিগিং' রুখেই নাকি সরকার গড়ে ফেলেছে তাঁরা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধীরা অন্তত তেমনটাই মনে করছে। নারদ কাণ্ড, উড়ালপুলের প্রভাব মানুষের মনে চাপ দিয়েছে কিনা, সে উত্তর মিলবে ১৯ মে'ই। তবে কনফিডেন্ট দুই পক্ষই। বাংলার একমাত্র নজির জেল থেকে ভোটে দাঁড়ানো নেতা তৃণমূলের 'মাস লিডার' মদন মিত্র বলছেন, "২০০ আসনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল, মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর নিজে জিতবেন ৫০০০ ভোটে"। আর উল্টোদিকে, গঠন হয়ে গেল জোটের মন্ত্রিসভাও। হোয়াটস অ্যাপ থেকে ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে দেওয়ালে ছড়িয়ে পড়ছে এক পোস্ট, যা ভাইরাল জ্বরের থেকেও বেশি ভাইরাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অবশ্য বাম থেকে ডান থুড়ি বাম-ডান তো এ ভোটে একই, জোটের নেতারা এবিষয়ে কোনও রকম হেলদোল করছেন না। সিপিআইএম বা কংগ্রেস এমন কোনও মন্ত্রিসভার কথা সরকারি ভাবে জানায়নি, এমন কথাই ভেসে আসছে আলিমুদ্দিন আর 'বিধান ভবন' থেকেই। রাজনৈতিক রায় যাই হোক না কেন, হোয়াটস অ্যাপ কিন্তু মজে আছে এই জোটের মন্ত্রিসভা নিয়েই। 'এই তোর কাছে জোটের মন্ত্রিসভাটা আছে, আমাকে হোয়াটস অ্যাপ কর', একে একে দুই, দুইয়ে দুইয়ে দুশো, দুশো থেকে  দুই হাজার-এভাবেই ছড়িয়ে পড়ছে হোয়াটস অ্যাপ পোস্টটি।


একনজরে দেখে নিন জোটের মন্ত্রিসভা (এই পোস্টের সত্যতা ২৪ ঘণ্টা ডট কম যাচাই করেনি, সমস্ত তথ্য হোয়াটস অ্যাপ থেকে প্রাপ্ত)


মুখ্যমন্ত্রী- সূর্যকান্ত মিশ্র।
উপ-মুখ্যমন্ত্রী- মানস ভুঁইয়া। তবে এই দৌড়ে আছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিজেই। সাংসদ পদ ছেড়ে উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী অধীর, এমনটাই দাবি হোয়াটস অ্যাপের পোস্টের। বিস্তারিত-




এই পোস্টের সত্যতা ২৪ ঘণ্টা ডট কম যাচাই করেনি, সমস্ত তথ্য হোয়াটস অ্যাপ থেকে প্রাপ্ত