সুতপা সেন: রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্য়াণ দফতরের পর্যালোচনা বৈঠকের পর স্বাস্থ্য-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ববি তুমি রয়েছো, প্রিন্সেপ ঘাটের অবস্থা বেশ খারাপ। ওখানে কিন্তু আমার পৌষ মেলা হয়। দ্রুত ওই জায়গাটা সাফ করো। কেন আমাকে বারবার বলতে হবে? খুব খারাপ লাগে। এ যেন বাচ্চা ছেলে। রোজরোজ ললিপপ ধরিয়ে দেবে হাতে। কখনও সরকার বদল হয়, কখনও অফিসার বদল হয়। পলিসি তো চেঞ্জ হয় না। তাহলে কেন এসব রেগুলারলি মনিটার করা হবে না? যে পার্ক বা রাস্তা দেখছে তার কি এটা ডিউটি নয়? কলকাতার লোকের যাওয়ার জায়গা নেই। তাই প্রিন্সেপ ঘাট থেকে মিলেনিয়াম পার্ক পর্যন্ত করা হয়েছিল। খুব খারাপ লাগে যখন এসব শুনি। কেন আমাকে এসব বলবে। আমরা চাই গঙ্গায় একটি গঙ্গা আরতির জায়গা হোক। উত্তরপ্রদেশে এটা হয়। আমাদের এখানে এটা নেই। কিন্তু দেখতে হবে মানুষ আরতি দেখতে গিয়ে পড়ে যেন না যায়। কলকাতা কর্পোরেশনকে দায়িত্ব দিচ্ছি এটা করার জন্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রণে ভঙ্গ তৃণমূলের! ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া শাসকদলের


পরিবহণ দফতরকেও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদিক বৈঠকে বলেন, হাওড়ার দিক থেকে নবান্নের দিকে এসো। দেখো রাস্তার কী খারাপ অবস্থা। একটা দিন জল দিয়ে ধোয়া হয় না? কেন আমাকে চোখ দিয়ে দেখতে হবে? ওখান দিয়ে যারা রোজ যায় তারা কেন দেখতে পায় না? আগে ধোয়া হতো। সেই পাটটাই চুকিয়ে দিয়েছে? আমি বলব এটা ফের শুরু হবে। ফরসোর রোডে আলো জ্বলে না। এটা বলা আমার ডিউটি? ডিএম রয়েছে, এসপি রয়েছে। এটা আমাকে বলতে হবে? আমার ভালো লাগে না? এটা যাদের দায়িত্ব তাকে এটা করতেই হবে। কতবার এসব বলতে হবে? পজিটিভ হয়ে কাজ করতে হবে আমাদের। 


মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, আমরা অনেক সময় নিজেদের সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করার জন্য সাবসেন্টার লেভেলে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ২১৭৩টি এবং ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ১৬৬১৬টি সুস্বাস্ত্য কেন্দ্র গড়ে উঠবে। আর্থত্ পরিষেবা মানুষের দরজায় পৌঁছে যাবে। এখানে ওষুধ,ডায়বেটিস টেস্ট, ক্য়ান্সার টেস্ট ইত্যাদি পরিষেবা দেওয়া হবে। ২ হাজারের বেশি সাবসেন্টার ইতিমধ্যে চালু হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী, শিশুসাথী ও চোখের আলো প্রকল্প রয়েছে। স্বাস্থসাথী প্রকল্পে এখনওপর্যন্ত ২ কোটি ৪০ লাখ পরিবারের ৮ কোটি ৪৩ লক্ষ মানুষ নথিভুক্ত হয়েছেন। শুরু থেকে এখনওপর্যন্ত ৪৩ লক্ষ মানুষকে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরেও আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)