জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যে বকেয়া অর্থ আদায়ে দিল্লি গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করার পরিকল্পনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি তিনি দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকেও যোগ দেবেন। সেইসব একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামিকাল এমপিদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সোমবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেব। পরদিন বেলা এগারোটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে চেয়েছি। কয়েকজন সাংসদকে নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করব বলে আমি বলেছিলাম। বাংলার একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। কোনও টাকা দেয়নি। বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। গ্রামীণ রাস্তার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এগুলি কেন্দ্রের প্রকল্প। কিন্তু টাকাটা কেন্দ্রের একার নয়। কেন্দ্র ট্যাক্সের যে টাকা তুলে নিয়ে যায় সেখান থেকে টাকা দেয়। আর আর আমরা আমাদের ভাগটা দিই। স্বাস্থ্য দফতরের টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- 'অত্যন্ত গুরুতর বিষয়', সংসদে হানা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী


কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেনাকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। সেদিন শিলিগুড়ির আগে সুখনার ওখানে দেখলাম সব বাড়িগুলোকে গেরুয়া করে দিয়েছে। আমাদের বলছে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেরুয়া রঙ করে দিতে হবে। কেন করব? আমাদের রাজ্যের তো একটা ব্র্যান্ড রয়েছে-নীল-সাদা। এটাকে কোনও দলের ব্র্যান্ড নয়। আমরাই প্রথম রঙ দেওয়া শুরু করি সরকারি ভবনে। প্রতিটি জায়গায় বিজেপির লোগো লাগাতে হবে? আর বিজেপির কালার করতে হবে? মানুষের স্বাঝীনাতা বহলে কিছু থাকবে না? কে কী খাবে সেটাই ঠিক করে দেবে? কে কী পরবে সেটাও ঠিক করে দেবে? সিলেবাসে যা ইচ্ছে তাই ঢোকাবে? মানুষের মাথা খারাপ করে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা। এসব নিয়ে আমরা আওয়াজ তুলছি। এসব কথা আমার বক্তব্যের মধ্যে থাকবে।


সংসদে দুই যুবকের হানা নিয়েও মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা একেবারেই নিরাপত্তা ব্য়বস্থার ব্যর্থতা। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী তা স্বীকারও করেছেন। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এনিয়ে তদন্ত হচ্ছে। আমরা কখনও নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপস করতে পারি না। ওই হানার সঙ্গে বাংলার কোনও যোগাযোগ নেই। যারা তদন্ত করছেন তাদের তদন্ত নিরপেক্ষা হোক আমরা চাই। আমরা কোনও উল্টোপাল্টা মন্তব্য করি না। যেটা বলব সেটা দায়িত্ব নিয়ে বলব। আমরা তো আবোলতাবোল বকি না! বাংলার কুত্সা করাই ওদের সারাক্ষণের কাজ। কোনও অপরাধমূলক কাজকে প্রশ্রয় দেয় না বাংলা।


রাজ্যের বকেয়া টাকা আদায় নিয়ে অভিষেকের নেতৃত্বে দিল্লি গিয়েছিল তৃণমূলের বিশাল প্রতিনিধিদল। সেই আন্দোলন নিয়ে বিস্তর হইচই হয়েছিল রাজধানীতে। আন্দোলনটা বহুদিন ধরেই চলছে। আমি নিজেও ধর্না করেছি। বিধানসভাতেও ধর্না হয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রস্তাবও পাস হয়েছে।  এর আগেও তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দাখা করেছি। ফের বৈঠক করতে চলেছি।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)