ওয়েব ডেস্ক: কী ভাবে ভেঙে পড়ল পোস্তা উড়ালপুল? কেন ঘটল এই বিপর্যয়? উত্তর খুঁজতে গ্রাউন্ড জিরোয় ২৪ ঘণ্টা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘিঞ্জি এলাকায় কাজের দুপুর। হঠাত্‍ই মাথার ওপর ভেঙে পড়ল আকাশ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই টন টন ইস্পাত আর কংক্রিটের নীচে চাপা পড়ল জীবন।   


হাওড়া ব্রিজ থেকে নেমে পোস্তার যানজট এড়িয়ে দ্রুত গিরীশ পার্ক পৌছতে বিবেকানন্দ উড়ালপুলের পরিকল্পনা করা হয়। পোস্তা মোড় থেকে উড়ালপুলের আরেকটি অংশ নিমতলা ঘাট স্ট্রিট পর্যন্ত যাওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার, গণেশ টকিজের কাছে কালীকৃষ্ণ টেগোর স্ট্রিট ও রবীন্দ্র সরণির সংযোগস্থলে নির্মীয়মান সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে।


গিরীশ পার্ক থেকে পোস্তাগামী উড়ালপুলের বাঁ দিকে লোহার পাটাতনের ওপর বুধবার রাতে ঢালাই করা হয়। কংক্রিটের ভার সামলাতে না পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে গণেশ টকিজ মোড়ের কাছে পিলারের ওপর T অংশটি ভেঙে যায়। ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় T অংশের সংযোগস্থলে একদিকে যে লম্বা গার্ডার ছিল সেটি ভেঙে পড়ে। ঢালাই মশলার বাড়তি চাপে রাস্তায় ভেঙে পড়ে অন্য দিকের গার্ডারও।


বিশেষজ্ঞদের কথায় উঠে আসছে একাধিক সম্ভাবনা। কংক্রিটের ভার সামলাতে পারেনি উড়ালপুলের ইস্পাতের গার্ডার। উড়ালপুলের দু-দিকে একসঙ্গে ঢালাই না হওয়ায় পিলারের ওপর T আকৃতির অংশের দু-দিকে ওজনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। বাঁকের মুখে পিলার থাকায় ওজনের ফারাকে সহজেই গার্ডার ভেঙে পড়ে। সিঙ্গল পিলারের T আকৃতির অংশটি কী পরিমাণ কংক্রিটের ওজন নিতে পারবে তা ঠিকমতো হিসাব করা হয়নি।


নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহারের কারণেও হতে পারে বিপর্যয়। পিলারের গার্ডার দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়ায় উড়ালপুলের একটি অংশ পুরোপুরি রাস্তায় ভেঙে পড়ে। অন্য অংশটি কার্যত ঝুলন্ত অবস্থায় রয়ে যায়। সঠিক পদ্ধতিতে এই ঝুলন্ত অংশটি ভেঙে ফেলাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।