নিজস্ব প্রতিবেদন : মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মঙ্গলবার। মেয়র পদ থেকেও পদত্যাগের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত আজ-ই মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পদত্যাগকে ঘিরে ছুটির দিনেও টান টান উত্তেজনা ধর্মতলার ছোট লাল বাড়িটায়। প্রসঙ্গত, আজ বুধবার পুরসভার ছুটি। কিন্তু ছুটির দিনেও পুরভবনে দুটি দফতর খোলা। সকাল সকাল অফিসে চলে এসেছেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। খোলা রয়েছে চেয়ারপার্সন মালা রায়ের অফিসও। ছুটির দিনেও তত্পরতা তুঙ্গে পুরভবনে, সঙ্গে জারি জল্পনা।


প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কাজকর্ম নিয়ে গতকাল বিধানসভায় মুখমন্ত্রীর ধমকের মুখে পড়েন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষে মিনিট দশেক দুজনের মধ্যে একান্তে কথা হয়। তখনই নেত্রীর ধমকের মুখে পড়েন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েনের জেরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব কোনওটাই তিনি ঠিকমতো পালন করতে পারছেন না বলে,  শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী।


এরপর নবান্নে দমকল দফতরের অনুষ্ঠানেও মঞ্চে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাগত স্বরে কিছু বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তারপরই সাংবাদিক বৈঠকে না গিয়ে নিজের ঘরে চলে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি গৌতম স্যানালের কাছে গিয়ে তাঁর হাতে মুখবন্ধ খামে ইস্তফাপত্র তুলে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তারপর বেরিয়ে যান নবান্ন ছেড়ে।


আরও পড়ুন, রাতের কলকাতায় তরুণীকে ধর্ষণ-খুনের চেষ্টা অটোচালকের


শোভন চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই দমকল ও আবাসনের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফিরহাদ হাকিমকে। এরপরই জল্পনা ছড়ায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিলে, পরবর্তী মেয়র কে হবেন? হাওয়ায় ভাসছে দুটি নাম। মেয়র হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ও মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। এখন দেখার বাস্তবে কী হয়? এদিকে, মঙ্গলবারই কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অবর্তমানে সমস্ত কাজের দেখভাল করবেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার খলিল আহমেদ। 


প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে মেয়র ইস্তফা দিলে কলকাতা পুরসভায় দেখা দেবে অচলাবস্থা। উঠে আসছে আইনি জটিলতার নতুন তত্ত্ব। মেয়র পদত্যাগ করলে ভেঙে যাবে মেয়র পারিষদ-পরিষদ। তখনও কোনও মেয়র পারিষদই আর ফাইলে সই করতে পারবেন না। নতুন মেয়র শপথ নেওয়া পর্যন্ত পুরসভায় এই অচলাবস্থা চলবে। যার বিকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই পুরভবনে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।