Kunal Ghosh: `বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বলতে পারবেন ভোটে লড়ব না!` অভিজিতকে নিশানা কুণালের
Kunal Ghosh on Abhijit Ganguly: `বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে বলতে পারবেন ভোটে লড়ব না!` অভিজিতকে নিশানা কুণালের
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: বিচারপতির পদ ছাড়ার পর রাজনীতিতে আসার কথা ঘোষণা করেছে অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় নিশানা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এনিয়ে পাল্টা অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতার অভিযাগ, দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির অভিযোগ থাকে তাহলে কি আপনি ভোটে লড়াই করবেন?
আরও পড়ুন-সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই! হাইকোর্টের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মলন করে কুণাল ঘোষ বলেন, অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা থেকে স্পষ্ট, তিনি চেয়ারে থাকাকালীন ছুটি নিয়ে নিজে থেকে বিজেপির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। বিচারব্যবসায় এটা কী করে হতে পারে? যিনি তখনও চাকরি ছাড়েননি তিনি বলেছেন তিনি বিজেপিকে অ্যাপ্রোচ করেছেন বা বিজেপি আমাকে অ্যাপ্রোচ করেছে। বিচারপতির চেয়ারে বসে তার সরকার বিরোধী রায়গুলি নিয়ে পলিটিক্যাল বিপণন করে তাঁর পলটিক্যাল গড়ার জন্য বিজেপির সঙ্গে দরাদরি করতে গিয়েছিলেন।
তৃণণূল নেতা বলেন, এই প্রথম কাউকে দেখা গেল কেউ বলছেন, আপাতত আমি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছি। অর্থাত্ এই দল বা তার নির্বাচনী ভবিষ্যত সম্পর্কে তিনি নিজেই নিশ্চিত নন। শুভেন্দু অধিকারীর কাগজে মুড়ে টাকা নেওয়া নারদ মামলায় উনি বলেছেন, ওটা কী ছিল? ওটা কি টাকা নাকি অন্যকিছু? আপনি তো কথায় কথায় সিবিআই বলেন। তাহলে সিবিআইয়ের এফআইআর নেমড সম্পর্ক নীরব কেন! তাহলে আপনি মুখে দুর্নীতির কথা বলছেন, কিন্তু আপনি দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করছেন। তদন্তের আগেই শুভেন্দু অধিকারীকে ক্লিনচিট দিয়েছেন।
অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কে অভিষেক? এনিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, আপনি আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন তা মারাত্মক। আপনি বলেছেন, কীভাবে বিচার করতে হয় আপনি দেখিয়ে দিয়ে এসেছেন। বাকী বিচারপতিরা ঠিক করবে তাঁর মডেলে বিচার করবেন নাকি একশো বছর আগের মডেলে করবেন। নিজের ইমেজ তৈরির জন্য আপনি বিচারব্যবস্থা ও বিচারপতিদের অপমান করেছেন।
দলের নেতাদের আক্রমণ নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, তৃণমূল মুখপাত্রদের বিরুদ্ধে আপনি অভিযোগ তুলেছেন যে তারা বিচারকের রায়ের নয়, বিচারকের সমালোচনা করে হয়েছে। খুবই আন্দন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি তৃণমূল ঠিক লোককেই আক্রমণ করেছিল। সিপিএম চিনতে পারেনি, কংগ্রেস চিনতে পারেনি, তৃণমূল পেরেছিল। ভোটে লড়াই করতে গেলে আপনাকে এফিডেবিট দিতে হবে। সব প্রার্থীদেরকেই দিতে হবে। সেক্ষেত্রে বিজেপির একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধেও যদি অপরাধের রেকর্ড থাকে তাহলে আপনার কি বলার ক্ষমতা হবে যে ভোটে লড়ব না? এফিডেভিট দেখে প্রমাণ হয়ে যাবে বিজেপির কতজনের বিরুদ্ধে বিচারাধীন ফৌজদারি মামলা রয়েছে। যে ভাষায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আক্রমণ করেছেন তাতে বলা যায় যতদিন উনি বিচার করেছেন তাতে সেই বিষ ও পক্ষপাত বিচারে প্রতিফলিত হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)