নিজস্ব প্রতিবেদন: শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমকামিতার প্রবণতা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। কমলা গার্লস হাইস্কুলের সমকামিতা বিতর্কে মন্তব্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ক্লাসরুমে 'সমকামিতা'! বিতর্কে উত্তাল কলকাতার নামী গার্লস স্কুল


সম্প্রতি কমলা গার্লস স্কুলে সমকামিতা ইস্যুতে বিতর্কের ঝড় ওঠে। উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষিকাকে লেখা নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর চিঠি ঘিরেই বিতর্ক দানা বাঁধে। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তার কয়েকজন সহপাঠী ক্লাসের মধ্যে 'আপত্তিকরভাবে' পাশাপাশি বসে থাকে। ক্লাসের মধ্যে বসেই ওই ৬-৭ জন ছাত্রী 'আপত্তিকর' কাজকর্ম করে। ছাত্রীর এই অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্কুলের পরিস্থিতি। ঘটনা আরও গুরুতর হয়ে ওঠে যখন স্কুলের স্ট্যাম্প দেওয়া কাগজে জোর করে ওই ছাত্রীদের দিয়ে 'লেসবিয়ান' বলে লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। 


আরও পড়ুন: ধড় থেকে ছিন্ন হয়ে গেল মুন্ডু, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা উলুবেড়িয়ায়


এই ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্কুলের মধ্যে লেসবিয়ানিজম কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এটা অত্যন্ত ব্যক্তিগত একটি বিষয়, যা স্কুলের বাইরেই রাখাই ভালো। স্কুল কখনই ব্যক্তিগত ধারণা প্রকাশের জায়গা হতে পারে না। এটা অন্যকে প্রভাবিতও করতে পারে।’’


আরও পড়ুন: বিয়ের আসরে চার হাত এক না হয়েও বেঁচে থাকল প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা!


কিন্তু কেন স্কুলে সমকামিতার প্রবণতা বাড়ছে?  
এক প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘ স্কুলে বর্তমানে এই ধরনের প্রবণতা বাড়ছে। মূলত তরুণ-তরুণীদের মধ্যেই এই প্রবণতা বাড়ছে। তারা অনেকক্ষেত্রে একে অপরের মধ্যে দিয়ে যৌন চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে যা আমাদের সংস্কৃতির পরিপন্থী।’’


এই ঘটনায় কমলা গার্লস স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে শিক্ষা দফতর। ছাত্রীরা আদৌ স্কুলে অশ্লীল কাজ করেছে কি না, তা আগে ভালো করে স্কুল কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। তবে দোষ প্রমাণ হওয়ার আগেই ছাত্রীদের দিয়ে ‘লেসবিয়ান’লিখিয়ে নেওয়া অত্যন্ত ভুল ছিল বলে উল্লেখ করেছে শিক্ষামন্ত্রী।