নিজস্ব প্রতিবেদন:  মহিলাই সাধারণত প্রতিদিন মেয়েকে স্কুল বাস তুলে দিতে যেতেন। সেই সময়টুকু প্রতিবেশীদের সঙ্গে সামান্য দু-চারটে কথাও বলতেন।  কিন্তু বুধবার সকালে তাঁকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখেননি কেউ।  অফিস যেতে দেখেননি তাঁর স্বামীকেও। সকাল থেকেই বাড়ির দরজা জানলা ছিল বন্ধ। তাই কিছুটা সন্দেহ হয়েছিল প্রতিবেশীদের।  কোথাও বেড়াতে যে যায়নি ওই পরিবার, তাও জানতে প্রতিবেশীরা। তাহলে কারোর শরীর খারাপ করেনি তো! এই মনে করেই রিজেন্ট পার্কের মুর অ্যাভিনিউয়ের নস্কর বাড়িতে উঁকি দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা।  ঘরের ভিতরের দৃশ্য দেখে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় তাঁদের। বুধবারের সকালে যখন সকলে বনধের হালহকিকত্ জানতে ব্যস্ত, তখন কলকাতার রিজেন্ট পার্কে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বনধে ভয়ঙ্করকাণ্ড, ভাঙচুরের পর পুড়িয়ে দেওয়া হল বাস, জ্বালিয়ে দিয়ে ফেলে দেওয়া হল খালে! পশ্চিমবঙ্গে এই ঘটনা আগে ঘটেনি


ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে মহিলা, বিছানার উপর তার স্বামী ও বছর পাঁচেকের ছোট্ট মেয়ে। প্রত্যেকের গলায় গভীর ক্ষত। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। রিজেন্ট পার্কের মুর অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার  অতীশ  দীপঙ্কর নস্করের বাড়িতে  গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখতে এই দৃশ্য।


পেশায় ইঞ্জিনিয়ার অতীশ  দীপঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী দোলা নস্কর মুর অ্যাভিনিউয়ের পুরনো বাসিন্দা। সংসারে তাঁদের সেরমকভাবে অশান্তি ছিল না বলেই জানতেন প্রতিবেশীরা। বুধবার সকালে তাঁদের কাউকেই দেখতে না পেয়ে খোঁজ নিতে যান প্রতিবেশীরা। তখনই ওই দম্পতি ও তাঁদের সন্তানকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয়রা পুলিসকে খবর দেন।


আরও পড়ুন: শিয়ালদা শাখার এই স্টেশনে রেল অবরোধ ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড, দেখুন সেই দৃশ্য


পুলিস গিয়ে ওই দম্পতি ও তাঁদের সন্তানকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করায়। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে, স্বচ্ছল, আপাত নির্ঝঞ্ঝাট এই দম্পতি  কী  সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, যদি তাই করে থাকেন তাহলে কেন? নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির যোগ রয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিস।