নিজস্ব প্রতিবেদন: সংগঠনের ডাকে সাড়া দিলেন না সিটু অনুমোদিত ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সদস্যরাই। সংগঠনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ট্যাক্সি ধর্মঘট তাই কার্যত কোনও প্রভাব ফেলল না শহরের বুকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন, এয়ারপোর্ট থেকে শহরের রাস্তা- সর্বত্রই মঙ্গলবার সকাল থেকে সহজলভ্য হলুদ ট্যাক্সি। ছেদ পড়ল না আমজনতার রোজনামচায়। পাশাপাশি ছন্দে ছিল ওলা উবেরের মতো স্মার্ট ক্যাব পরিষেবাও। ট্যাক্সি শ্রমিক বা চালক, যাঁদের জন্য এই ধর্মঘট বলে সংগঠনের দাবি, কেন তাঁরা নিজেরাই প্রত্যাখান করলেন ধর্মঘট?


সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যুতে উত্তেজনা নিউ আলিপুরে, দেহ নিয়ে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর


ট্যাক্সি চালকদের একাংশের মত...


১. সারাদিন ট্যাক্সি চালিয়ে মালিকের টাকা তেলের দাম ও পুলিশের জরিমানা মিটিয়ে একজন ট্যাক্সি চালকের প্রাপ্তি থাকে গড়ে 200 থেকে 250 টাকা। অর্থাত্ মাসে ৬ থেকে ৬৫০০-এর বেশি নয় । ২দিন ট্যাক্সি রাস্তায় না নামালে তাঁদের পেটে টান পড়ার আশঙ্কা রযেছে। যার ক্ষতিপূরণ ইউনিয়ন দেবে না।


২. ধর্মঘটী সংগঠন দাবি করেছিল সমস্ত ট্যাক্সি চলকদের সংগঠন তাঁদের পাশে থাকবে। তাই রাস্তায় নামবে না ২০হাজার ট্যাক্সি। কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল শাসকদলের ট্যাক্সি সংগঠন প্রগ্রেসিভ ট্যাক্সি মেনস ইউনিয়ন তাঁদের সব ট্যাক্সি রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে।


৩. ট্যাক্সি মালিকদের সব থেকে বড় সংগঠন বেঙ্গল ট্যাক্সি তাদের চালকদের টানা বুঝিয়ে গেছে, ন্যূনতম ভাড়া ৩০ থেকে বেড়ে পুজোর আগেই ৪০ টাকা করার ব্যাপারে রাজ্য পরিবহণ দফতর নিমরাজি। আলোচনা চলছে। এই অবস্থায় ধর্মঘট ডাকলে ভুল বার্তা যাবে।


৪. ধর্মঘট ডাকলেই সেই প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেওয়ার ৭০ দশকের সংস্কৃতি রাজ্যে এই মুহূর্তে অনেকটাই ফিঁকে। সেটা বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন অনুধাবন করতে পারেনি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


৫. ওলা-উবর পেশাদার সংস্থা। সিটুর দাবিগুলিকে তারা নীতিগতভাবে সমর্থন জানিয়েছে। সিটুর ধারণা ছিল তারা রাস্তায় গাড়ি না নামিয়ে বার্তা দেবে। তারা সে পথে হাঁটেনি।