নিজস্ব প্রতিবেদন : ফেসবুকে মেসেজের জবাব দেয়নি তরুণী। বিরক্ত হয়ে ব্লকও করে দেয় যুবককে। আর তারপরই মেয়েটির ছবি ডাউনলোড করে তা দিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ওই যুবক। সেখান থেকে মেয়েটির নাম করেই বিভিন্ন ব্যক্তিকে যৌন সম্পর্কের সম্পর্কের প্রস্তাব পাঠাত সে। অবশেষে তপসিয়া থেকে অভিযুক্ত মহম্মদ রাজিলকে পাকড়াও করে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গেছে, ওই তরুণী পেশায় মেকআপ আর্টিস্ট। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মুডে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করাই ছিল তাঁর নেশা। আর তাঁর শেয়ার করা সেই ছবি নিয়েই কারিকুরি চালাত অভিযুক্ত রাজিল।


বছর দুয়েক আগে ওই তরুণীকে রাস্তায় দেখে ফেসবুকে মেসেজ করতে শুরু করে রাজিল। কিছুদিন পর বিরক্ত হয়ে রাজিলকে ব্লক করে দেন ওই তরুণী। এরপরই গত সেপ্টেম্বরে তাঁর নামে ভুয়ো প্রোফাইলের বিষয়টি নজরে আসে তরুণীর।


তরুণীর মোবাইলে কয়েকটি স্ক্রিনশট পাঠান তাঁর বন্ধুরা। সেই স্ক্রিনশট দেখে চমকে ওঠেন ওই তরুণী। দেখেন তাঁর ছবি দিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে একাধিক ফেক প্রোফাইল খোলা হয়েছে। আর সেইসব ফেক প্রোফাইল থেকে দেওয়া হয়েছে সেক্স সার্ভিসের প্রস্তাব। ব্যবসা ফাঁদা হয়েছিল রীতিমতো পেশাদারি কায়দায়। পেমেন্টের ব্যবস্থাও ছিল নিঁখুত।


আরও পড়ুন, কোন্নগর পুরসভার গেস্টহাউজে দেহ ব্যবসা, সিআইডি তল্লাশিতে ধৃত ৮ মহিলা-৪ পুরুষ


বিষয়টি নজরে আসার পরই লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানান তরুণী। তদন্ত নেমে আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে বুধবার রাতে তপসিয়া থেকে অভিযুক্ত রাজিলকে গ্রেফতার করে পুলিস। রাজিলের দাবি, বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে তরুণীকে দেখেন তিনি। তারপরই নাম জেনে তৈরি করে ফেলেন ফেক অ্যাকাউন্ট। তবে, পুলিসের দাবি, রাজিল একা নয়। গোটা চক্রের পিছনে রয়েছে আরও বড় কোনও মাথা। তার খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে।