বেহালাকাণ্ডে বাবান ব্যানার্জিকে বহিষ্কারের নির্দেশ; আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন, মমতা-অভিষেক দেখছেন: রত্না
`আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছি যে, আমার হাতে এটা নেই। এটা আইনের হাতে চলে গিয়েছে। আইন যা ব্যবস্থা নেবে, সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : বেহালাকাণ্ডে যুব TMC-র ওয়ার্ড সভাপতি বাবান (সোমনাথ) ব্যানার্জিকে বহিষ্কারের নির্দেশ। যদিও বাবানকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিস। এরমধ্যেই বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চ্যাটার্জির বাড়িতে দরবার করেন অভিযুক্ত যুব নেতার অনুগামীরা। কিন্তু তাদের পাল্টা কড়া জবাব দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন তিনি।
রত্না চ্যাটার্জি পাল্টা বলেন, "আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জি ঘটনাটা পুরো জানেন। তাঁরা দেখছেন। তাঁরা বেহালা থানার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। আমিও রেখেছি।" পরে রত্না আরও বলেন, "দুটো পাড়ার মধ্যে চড়ক মেলা নিয়ে একটি গন্ডগোল বাধে। সেটি থানায় বসে মীমাংসাও করে দেওয়া হয়। তারপরেও এক পাড়া, অন্য পাড়ার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ফলে দুপক্ষের মধ্যে লড়াই হয়। আমি তাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছি যে, আমার হাতে এটা নেই। এটা আইনের হাতে চলে গিয়েছে। আইন যা ব্যবস্থা নেবে, সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে।"
প্রসঙ্গত, বেহালা পূর্ব বিধানসভার চড়কতলায় এলাকা দখলকে ঘিরে ব্যাপক আকার নেয় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষের জেরে আহত হন বেশ কয়েকজন। পুলিসের সামনেই দুপক্ষের ইট বৃষ্টি চলে। গাড়ি, বাইক, স্কুটি সহ একাধিক গাড়িতে চলে তুমুল ভাঙচুর। বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরেই এলাকার দখলদারি নিয়ে বাবান ব্যানার্জি ও তানা ভট্টাচার্য নামে দুই নেতা চড়কতলা এলাকায় অশান্তি করে।
আরও পড়ুন, মাথায় বন্দুক ধরতে পারেন, মরতে রাজি, দুর্নীতি দেখলে চুপ থাকব না: বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি
'প্রচুর টাকার লেনদেন!', SSC নিয়োগ মামলায় এবার 'আর্থিক দুর্নীতি'র তদন্তে ED
SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে CBI হাজিরার নির্দেশ, পাল্টা স্থগিতাদেশ, কী বলছেন কুণাল?