Zee 24 Ghanta Exclusive: ক্ষুরের আঘাতে রক্তাক্ত দাদা, চোর ধরলেন ভবানীপুরের `বীরাঙ্গনা` পিঙ্কি
পরিবারের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন বাড়ির একমাত্র মেয়ে। চোরের ক্ষুরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েও `দুষ্টু লোক`কে পুলিসের হাতে তুলে দিলেন বীরাঙ্গনা।
সঞ্জয় ভদ্র: ভোর রাতে ফ্ল্যাটে ঢুকে বসেছিল চোর। দেখা মাত্রই চিৎকার করে ওঠেন মহিলা। আহত হন তাঁর চেলেও। এরপর, পরিবারের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বাড়ির একমাত্র মেয়ে। চোরের ক্ষুরের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েও চোরকে পুলিসের হাতে তুলে দিলেন বীরাঙ্গনা।
শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে ভবানীপুরের যদু ভট্টাচার্য লেনের একটি ফ্ল্যাটে। বহুতলের নীচের তলায় থাকেন দীপা চক্রবর্তী। অন্যদিনের মতো শুক্রবার ভোরেও তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। বাইরের ঘরে আসতেই ফ্রিজের পাশে একটি আবছায়া দেখতে পান তিনি। চিৎকার করে ওঠেন। মহিলার চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে ছুটে আসেন ছেলে প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। তাঁরা দেখেন ফ্ল্যাটের মধ্য়ে ঢুকে পড়েছে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি। চুরির করতেই ফ্ল্যাটে ঢুকেছিল সে। সময় নষ্ট না করে লোকটাকে ধরতে যান প্রসেনজিৎ বাবু। এরপরই ঘটে অঘটন...
অভিযোগ, যুবককে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ক্ষুর চালাতে থাকে লোকটা। পেট, মুখ, মাথা-সহ শরীরের ৪৮টি জায়গায় গভীর ক্ষত হয়। মা-ভাইয়ের চিৎকার শুনে ওই বাড়িরই দোতলা থেকে নীচে নেমে আসেন মহিলার মেয়ে পিঙ্কি ভট্টাচার্য। চোখের সামনে মা ও দাদাকে আহত হতে দেখে সাহস করে, তিনি চোরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগান।
ল্যাং মেরে লোকটাকে মাটিতে ফেলে, তার উপর চড়ে বসেন পিঙ্কি দেবী। তাঁকেও আহত করে লোকটা। কিন্তু তাতেও 'কুছ পড়োয়া নেহি' মনোভাবে চোরকে বাগে আনেন বীরাঙ্গনা। এরপর আরও এক আত্মীয়ের সাহায্যে চোরটাকে পুলিসের হাতে তুলে দেয় পরিবারটি।
পরে ফ্ল্যাটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, ওই বাড়িরই পাঁচ তলার ফ্ল্যাটে থাকেন এক ভাড়াটে যুবক। সে'ই ওই চোরটাকে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে দিয়েছিল। তার মদতেই ফ্ল্যটে চোর ঢোকে। ইতিমধ্যে দু'জনকেই গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিস। ক্ষুরের আঘাতে প্রসেনজিতের শরীরে ৪৮টি স্টিচ পড়েছে। তরুণীরও চিকিৎসা করা হয়েছে। মেয়েটির সাহস এবং উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসায় পঞ্চমুখ পরিবার এবং প্রতিবেশীরা।