নিজস্ব প্রতিবেদন: জি চব্বিশ ঘণ্টার খবরের জের। সোমবার খবর সম্প্রচারের পরই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত এয়ার পোর্ট দু নম্বর গেটের বাসিন্দা প্রশান্ত ঘোষের দেহ খুঁজে পেল পরিবার। মঙ্গলবার হাসপাতালেরই মর্গ থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির দেহ। গতকাল অবধিও হাসপাতালের মর্গ থেকে ধাপার মাঠ এবং বিভিন্ন জায়গায় হন্য়ে হয়ে মৃতদেহ খুঁজে বেরাচ্ছিল পরিবার। তবে শেষমেশ মিলল দেহ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগকারী পরিবার জানায়, গত ১৭ জুলাই মেডিক্যালে আনা হয় এয়ারপোর্ট দু-নম্বর গেটের বাসিন্দা ৫৪ বছরের প্রশান্ত ঘোষকে। মৃত্যু হয় তাঁর। তারপরেই কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় গোটা পরিবারকে। তাঁদের দাবি কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে আর হদিস মিলছিল না প্রশান্ত ঘোষের দেহের। 


আরও পড়ুন:  কোভিড হাসপাতালের মেনুতে বদল, বাড়ল রোগীর মাথাপিছু খাবারের বরাদ্দ


মৃতের ভাই জানায়, বেরিয়ে আসার পর আমরা খোঁজ করতে শুরু করি দাদার দেহ দাহ হয়েছে কিনা, পাশাপাশি ডেথ সার্টিফিকেট চাই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। তাঁরা বলেন ধাপার মাঠ থেকে তথ্য নিয়ে আসতে। সেখানে গিয়ে আমরা খোঁজ করে জানতে পারি এই নামে কোনও করোনা আক্রান্তের মৃত দেহ দাহ হয়নি।" 


পরিবারের দাবি এরপর থেকেই শুরু হয় হয়রানি। বউবাজার থানায় অভিযোগ জানাতে যায় প্রশান্ত ঘোষের পরিবার, সেখান থেকে তাঁদের পাঠানো হয় মেডিক্য়ালে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে তাঁরা ওয়ার্ড  মাস্টারের কাছে পাঠান রোগীর পরিবারকে, সেখান থেকে রেকর্ডরুমে। তবে শেষ পর্যন্ত কোথাও কোনও তথ্য পায়নি মৃতের পরিবার। শেষে সুপারের অফিসে গিয়ে লিখিত আবেদন করেন তাঁরা। গোটা ঘটনাটি জি চব্বিশ ঘণ্টায় খবর  সম্প্রচার হয়। এরপরেই মিলল দেহের হদিস।