শনির সাড়ে সাতি দশা চলছে শুনলে অনেকেই হতাশায় ভেঙে পড়েন। কারণ, জীবনের সাড়ে সাত বছর এই সাড়ে সাতি দশা মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে দেয়। শনির সাড়ে সাতি দশা সাধারণত শারীরিক, মানসিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটায়। গুরুজনদের স্বাস্থ্য সঙ্কট-সহ নানা রকম সমস্যা এনে দেয়। শনি গ্রহ যখন জন্মকালীন চন্দ্ররাশির দ্বাদশ, প্রথম ও দ্বিতীয় ঘর অতিক্রম করে এ সময়কালকে শনির সাড়ে সাতি বলা হয়। রাশিচক্রে শনি একেক রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে আড়াই বছর। তিনটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে মোট সাড়ে সাত বছর। সে জন্যই একে শনির ‘সাড়ে সাতি’ বলা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাধারণত জাতক-জাতিকার জন্ম কুণ্ডলিতে এই সাড়ে সাতি তিনবার পরিক্রম করে (বাল্যকালে, যৌবনকালে ও বৃদ্ধ বয়সে)। প্রথম সাড়ে সাতি শিক্ষায় সঙ্কট এবং পিতামাতাকে কষ্ট দেয়। দ্বিতীয় সাড়ে সাতি জীবিকা ও অর্থ সংকট এনে দেয়, পরিবারে শান্তি বিঘ্নিত করে। প্রেম, ভালবাসা ও দাম্পত্য জীবনকেও প্রভাবিত করে। তৃতীয় অর্থাৎ শেষ সাড়ে সাতি শরীর-স্বাস্থ্য, গুরুজনদের মৃত্যু পর্যন্ত এনে দেয়। এ বার জেনে নেওয়া যাক জ্যোতিষশাস্ত্র মতে শনির সাড়ে সাতি দশার প্রভাব লঘু করতে কী কী প্রতিকার করণীয়...


আরও পড়ুন: কোন রত্ন, ধাতু বা মূল ধারণ আপনার জন্য শুভ, জেনে নিন...


ভোজন প্রতিকার:- কাক, কালো জীবজন্তু, মোষ, যোগীপুরুষকে ভোজন করালে শনির দোষ কাটে।


পূজা প্রতিকার:- কালো অগুরুর ধূপ জ্বালিয়ে শনি মন্দিরে পরপর আটটি শনিবার পূজা দিলে শনির দোষ কাটে।


ধাতু প্রতিকার:- সীসা ধারণ করলে শনিদেবের কোপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।


রত্ন প্রতিকার:- নীলা বা এমিথিষ্ট রত্ন ধারণ করলে শনির দোষ কাটে।


এ ছাড়াও কয়েকটি কার্যকরী প্রতিকার:-


১) শনিবার নিরামিষ খান।


২) হনুমান চাল্লিশা, দূর্গা চাল্লিশা, শিব চাল্লিশা পঠ করুন।


৩) বাড়ির বয়স্ক ব্যক্তি, পিতা, মাতাকে প্রণাম করে কাজে শুরু করুন।


৪) প্রতি শনিবার শিবের পূজো করা।


৫) কালো তিল দিয়ে ৪৪ দিন স্নান করুন। শনিবার শুরু করবেন।


৬) বৃদ্ধ মানুষকে সেবা করুন।


৭) সকালে গুড় ও রুটি কালো কুকুরকে খাওয়ালে সাড়ে সাতির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


৮) ভাত রান্না হওয়ার পরেই খাবার আগে যদি কাককে খাওয়ানো হয় তাহলে শুভ ফল হবেই।


এ ছাড়াও সাড়ে সাতি দশার প্রভাব লঘু করতে প্রণাম মন্ত্র জপ করতে পারেন...


প্রণাম মন্ত্র:-


নীলাঞ্জন চয় প্রখ্যাং রবিসূত মহাগ্রহম।


ছায়ায়া গর্ভসম্ভুতঃ বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চয়ম।।