জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুটো এবং ট্যাটু। চোখ, মাড়ি, দাঁত- বাদ নেই প্রায় কিছুই। ভিক্টর হুগো ও গ্যাব্রিয়েলা পেরলটার শরীরে নানাবিধ পরিবর্তন এনে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলে ফেলেছেন এই যুগল। দুজনের শরীরে মোট ৯৮টি অলঙ্কার রয়েছে। আর্জেন্টিনার এই যুগলের আলাপ হয়। দুজনেই বডি মডিফিকেশন করতে ভালোবাসেন। "ভিক্টর হুগো পেরলটার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস নিয়ে বলেন, "এনজয় লাইফ, উপভোগ করুন এই শিল্পকে।" ট্যাটু তোমাকে ভাল বা খারাপ মানুষ তৈরি করে না - এটা কেবলমাত্র শিল্প। এমন অনেকে থাকবেন যারা এটা পছন্দ করেন আবার অনেকে থাকবেন যারা বিষয়টি পছন্দই করেন না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Sanitary pads: বিপন্ন মেয়েরা! স্যানিটারি ন্যাপকিনে ক্যানসারের ডাক...


এই দম্পতির স্কলেরাস (চোখের সাদা অংশ ট্যাটু করে, চোখের আইবল ইনকি ব্ল্যাক তৈরি করে), ৫০ টি পিয়ারসিং, ৮টি মাইক্রোডার্মাল, ১৪ টি দেহের ইমপ্ল্যান্ট, পাঁচটি ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট, চারটি কানের কৃত্রিমভাবে লম্বা করা, দুটি কানের দুল এবং জিহ্বায় কাঁটা বসিয়েছেন। প্রায় ২৪ বছর আগে আর্জেন্টিনার বুয়েনোস গ্যাব্রিয়েলা এবং ভিক্টর এক মোটর সাইকেল অনুষ্ঠানের একে অপরকে প্রথমবার দেখেন।



প্রথম আলাপের পরই প্রেমে পড়েন দুজনে। সেই মুহূর্ত থেকে তারা জানত যে ইমপ্ল্যান্টস এবং শরীরের পরিবর্তনের প্রতি তাদের প্যাশন অনুসরণ করেই তারা বাকি জীবন একসঙ্গে কাটাবেন। যদিও পরে তারা স্বীকার করেন কিছু ট্যাটু করা খুব কষ্টকর ছিল। এই যুগলের মতে বডি মডিফিকেশনই শৈল্পিক স্বাধীনতা ও অভিব্যক্তির সবথেকে বড় প্রতীক। 


গ্যাব্রিয়েলার জন্য সবচেয়ে কষ্টসাধ্য ছিল তিনটি মডিফিকেশন। যদিও তিনি বলেন এর অনুভূকি অন্য কোনও পরিবর্তনের তুলনায় অতুলনীয়। ভিক্টরের জন্য সবচেয়ে বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা ছিল তার জিহ্বার। যার ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়েছিল তার। যদিও শেষে কষ্ট আর কষ্ট মনে হয়নি। কারণ এটিই ভিক্টরের জীবনে এখনও পর্যন্ত সবথেকে সুন্দর পরিবর্তন। 


আরও পড়ুন, Shraddha murder case: আপনার সঙ্গী ভবিষ্যতের 'আফতাব' কিনা চিনবেন যেভাবে...


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)