শর্মিষ্ঠা দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইংলিশ সেকেন্ড-পেপার পরীক্ষা দিয়ে স্কুলের গেট থেকে বেরোতেই হঠাত্ পিঠে অর্নার পেনের খোঁচা;---"ওই দেখ, তোর রোমিও এসে গেছে। "সমবেত হাসির শব্দে লাল হয়ে যেতে যেতে চাঁদনী দেখল উল্টো দিকের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে সেই হলুদ-রঙের টি-শার্ট। —"টিউটর  আবার  স্টুডেন্টের  এক্সাম-হল অবধি আসে না কি রে!" আগের দিন থেকেই আওয়াজ দিতে শুরু করেছে ওরা!---"কেমন হলো এক্সাম?" ---"আজও কেন এসেছ? বারণ করেছিলাম না! "অর্কদার চোখদুটো কি একটু ছলছলে লাগল!
 
----"সরি, আর আসব না --- বেস্ট-অফ-লাক। আর ম্যাথস এক্সামের পরে একটা খবর দিও—আফটার-অল ওটা আমার সাবজেক্ট!"  
হন-হন করে চলে গেল অর্ক; একবারও পিছন ফিরে না তাকিয়ে। বিমূঢ় হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রইল চাঁদনী ----অনেকক্ষণ!
বাকি পরীক্ষার দিনগুলোতে রোজই অবাধ্য চোখ কেন যে চলে যায় উল্টো দিকের ফুটপাথে! “দেখ, তোর রোমিও অন্য একটা জুলিয়েট পেয়ে গেছে!" ---শেষ পরীক্ষার দিন বন্ধুরা টিজ করছিল। বাড়ি ফিরে অকারণ চোখের জলে বালিশ ভেজাল চাঁদনী।
সতের বছর বয়েসটা এমনই। তীব্র অধিকারবোধে কোনো কোনো মানুষকে 'টেকন ফর গ্র্যান্টেড 'করে নেয় অজান্তেই! আর একুশ বছর বয়েসে নিজের ইগোর দামটাই বোধহয় সবথেকে বেশি।


*     *     *     *     *     *     *     *     *     *      *      *      *     *      *      *    


আজ টেলিভিশনের একটা চ্যানেলে লাইভ ইন্টারভিউ; "ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক কি বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত?"----এই প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ড : অর্ক রায়চৌধুরী একটু হোঁচট খেলেন। অ্যাঙ্কর চাঁদনী মিত্র তীব্র অন্তর্ভেদী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন তাঁর দিকে---সরাসরি তাঁর চোখে চোখ রাখলেন অর্ক। প্রশ্ন আর উত্তরের মাঝখানে দীর্ঘ পনের বছরের ব্যবধান কি মুছে যাচ্ছে আজ! (আরও পড়ুন- জ্যোতিষ বলয়)