ওয়েব ডেস্ক: ছবি তুলতে ওদের ভাল লাগে। ব্যাস এটুকুই...আর এই ভালবাসাটুকুকে সঙ্গে নিয়েই কলকাতার বুকে শুরু হয়ে গেল আস্ত একটা ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী- "চিত্রকথা"। নিজেদের তোলা ছবি সকলকে দেখানোর ইচ্ছায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে থাকা ১১ জন ফটোগ্রাফি পাগল মানুষ গড়ে ফেললেন 'ফটোহলিক্স' গ্রুপ। আর এই প্রয়াসের পাশে এসে দাঁড়ালেন সমাদৃত ফটো আর্টিস্ট অতনু পাল। গগনেন্দ্র শিল্প প্রদর্শনশালা অর্থাত্ কলকাতা তথ্যকেন্দ্রের দোতলায় ২৭ অগস্ট প্রথম প্রদর্শনীর মাধ্যমে শুরু হয়ে গেল 'ফটোহলিক্সে'র পথচলা। প্রদর্শন চলবে আগামী ৩১ অগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু আর পাঁচটা প্রদর্শনীর থেকে কোথায় আলাদা 'ফটোহলিক্সে'র এই প্রয়াস?
অতনু পাল জানালেন, যে ১১ জনের উদ্যোগে এই প্রয়াস তারমধ্যে ১০ জনেরই ফটোগ্রাফির কোনও প্রথাগত শিক্ষা নেই। রয়েছে কেবল ভালবাসা। আর এই ভালবাসাকে সম্বল করেই সাধারণের মধ্যে ছবিকে পৌঁছে দেওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। কিন্তু কী বলছেন 'ফটোহলিক্সে'র তরুণ সদস্যরা? স্বাগতা বসু জানালেন, "'ফটোহলিক্সে' যোগ দেওয়ার মূল কারণ, প্যাশন। কিন্তু রেগুলার প্রফেশনের বাইরে চট করে কাজ করার তো আর সুযোগ হয় না। তাই..."। 'ফটোহলিক্সে'রই আরেক সদস্য অর্চিতা বসুর কথায়, "এটা (এই প্রদর্শনী) একটা প্ল্যাটফর্ম', যেখানে আমাদের মতো অ্যামেচার্সরা একটা চান্স পাচ্ছে নিজেদের ছবি প্রদর্শন করার জন্য। আর যেখানে অতনু পালের মতো এমিনেন্ট ফটোগ্রাফারের নাম যুক্ত, সেখানে প্ল্যাটফর্মটা অনেক বড় হয়ে যায়"। এই প্রদর্শনীতে যাঁদের ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে, তাঁরা হলেন- অতনু পাল, শুভাশিষ ভট্টাচার্য্য, অভিশ্রুতি সরকার, শ্বাশ্বত মজুমদার, ময়ুখ পাল, অন্বেষা মজুমদার, মৈত্রিশ মজুমদার, অতনু বেরা, অর্চিতা বসু, শুভঙ্কর গোস্বামী, স্বাগতা বসু এবং সুবীর বসু।



কিন্তু "চিত্রকথা" কি শুধুই 'অ্যামেচার' প্রয়াস?
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি অধ্যাপক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বললেন, "এটা কিন্তু পেশার দিক থেকেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। একুশ শতককে প্রায় দৃশ্যের শতক বলা যায়। এখন আমরা যা কিছু প্রকাশ করি সবটাই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। ফলে সেখানে যদি এত তরুণ-তরুণী যুক্ত হয়, তাহলে বোঝা যাচ্ছে, আমাদের জন্য সম্ভবনার একটা নতুন জগত্ খুলে যাচ্ছে"।


ভালবাসা ও তারুণ্যে টানটান এই প্রয়াস সাফল্য পাক। আর 'ফটোহলিক্সে'র আগামী দিনগুলো হয়ে উঠুক রোমাঞ্চকর, এই কামনাই রইল ২৪ ঘণ্টা ডট কমের পক্ষ থেকে।