জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভারের দেহতে ৫০০রও বেশি কাজ করে থাকে, রক্ত থেকে টক্সিন পদার্থ দূর করে। কোলেস্টরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা তৈরি করে, এনার্জী জমায়। কোলেস্টেরল ও ব্লাড সুগারের মাত্রা তৈরি করে। যখন অ্যালকোহল লিভারে গিয়ে বিভাজিত হয়। যখন অ্যাসিল্ডিহইট, মুক্তমূলক তৈরি হয় যেগুলি লিভারকে ক্ষতি করতে পারে। যখন লিভার অ্যালকোহকে পরিশুদ্ধ করে তখন কিছু কোষ নষ্ট হয়ে যায়। যদিও লিভারের নতুন করে তৈরি করার ক্ষমতা আছে তা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অশান্তির মধ্যে প্রিয়ঙ্কার কাঁধে 'প্যালেস্টাইন' ব্যাগ, দেখেই তেতে উঠল বিজেপি


কিছু কিছু ক্ষেত্রে জেনেটিক ডিজিস থাকে। সাধারণত এইচএলএ ফেলোটিপ মহিলারা এই ধরনের মহিলারা এই ধরনের জিনিস লক্ষ্য করা যায়। 



ডাঃ সঞ্জীব সায়গাল,লিভার ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগ এবং বিলিয়ারি সায়েন্সেস এবং এইচপিবি ম্যাক্স সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের মুখ্য়নির্দেশক সাকেত বলেছেন যে, "আপনি যদি অনেক বছর ধরে বেশি মদ্যপান করেন তবে আপনার অ্যালকোহল সেবন কমানো বা বন্ধ করা হয় তখন আমাদের শরীরে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা পাওয়া যায়। যখন নিরাপদ সীমা বর্ণনা করা হয়, সর্বোত্তম পন্থা হল অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা। লিভারের ক্ষতি রোধ করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল অ্যালকোহল এবং ওষুধের সংমিশ্রণ বিশেষ করে অ্যাসিটামিনোফেন, অ্যান্টিবায়োটিক, রক্তের সাথে গ্রহণ করা হলে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। রক্ত পাতলা, এন্টিডিপ্রেসেন্ট, এবং ব্যথানাশক ওষুধগুলি কখনোই একসাথে নেওয়া উচিত নয়।"


অ্যালকোহলযুক্ত লিভার সম্পূর্ণ রোগ প্রতিরোধযোগ্য। এখান থেকে বোঝা যায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুধুমাত্র লিভার নয় সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আপনার লিভারের যত্ন নেওয়ার সর্বোত্তম উপায় হল অ্যালকোহল খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করা।


আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপ সাগরে! শীতের পথে কাঁটা, বাড়বে তাপমাত্রা...


ডাঃ সায়গাল ব্যাখ্যা করেছেন যে অ্যালকোহল-সম্পর্কিত লিভারের ক্ষতি তিনটি প্রধান পর্যায়ে ঘটে। প্রথম পর্যায় হল অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যেখানে অত্যধিক অ্যালকোহল সেবনের ফলে কিছু দিনের মধ্যে লিভারে চর্বি জমে যেতে পারে। এই পর্যায়টি লক্ষণহীন, তবে অ্যালকোহল পান অবিলম্বে বন্ধ করা হলে এটি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। দ্বিতীয় পর্যায়ে অ্যালকোহলযুক্ত হেপাটাইটিস, যা দীর্ঘমেয়াদী অ্যালকোহল ব্যবহারের কারণে হতে পারে। এটি হালকা বা গুরুতর হতে পারে। কম পরিমাণে পান করলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে, বেশি পরিমাণে পান করলে কিন্তু  হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে এবং অত্যাধিক  পরিচর্যার প্রয়োজন হতে পারে। তৃতীয় এবং সবচেয়ে গুরুতর পর্যায় হল সিরোসিস, যেখানে লিভার স্থায়ীভাবে দাগ ফেলে যায়। এই পর্যায়টির বিপরীত সাধারণত হয়না, তবে অ্যালকোহল ত্যাগ করলে ক্ষতি প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে।


আরও পড়ুন: কোন রাশির জাতকের দিন কেমন যাবে? পড়ুন আজকের রাশিফল...


অ্যালকোহল সম্পর্কে অনেক মিথ আছে। উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনারা স্বাস্থ্যকর ডায়েটে থাকেন তখন অ্যালকোহল পান করা নিরাপদ, লিভার সুরক্ষাকারী ওষুধগুলি অ্যালকোহল থেকে হওয়া ক্ষতিগুলি প্রতিরোধ করতে পারে এবং একটি নির্দিষ্ট ধরণের বা ব্র্যান্ডের অ্যালকোহল কম ক্ষতিকারক। কিন্তু বাস্তবতা ঠিক উল্টো। আসল বিষয়টি হ'ল ভারতে লিভারের ক্ষতির কারণের শীর্ষের তিনটি কারণের মধ্যে একটি হলো অ্যালকোহল। অ্যালকোহল ছেড়ে দিয়ে লিভারের ক্ষতি প্রতিরোধ করা যেতে পারে। ক্রমাগত অ্যালকোহল সেবনের ফলে হেপাটাইটিস, সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগ হতে পারে, লিভারকে সুরক্ষিত করার জন্য ট্রান্সপ্ল্যান্টই একমাত্র ভরসা হতে পারে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)