নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কের আবহে পরিচ্ছন্নতা আর সাবধানতাই ভাইরাস থেকে বাঁচার অন্যতম উপায়। এই পরিস্থিতিতে ইদানীং লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশের ব্যবহার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতন প্রায় প্রত্যেকেই এখন লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশে দিনের মধ্যে দশবার হাত ধুচ্ছেন। কিন্তু আপনার ব্যবহার করা হ্যান্ড ওয়াশটি আদৌ সুরক্ষিত তো?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যে সব লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ বাজারে উপলব্ধ, তাতে কী কী উপাদান রয়েছে তা আমরা প্রায় কেউই দেখি না। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বেশির ভাগ বাজার চলতি লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশে ট্রাইক্লোসান ও ট্রাইক্লোকার্বন নামের দু’টি রাসায়নিক উপাদন ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হয় যা আমাদের শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর! তাঁদের মতে, এই দু’টি রাসায়নিক উপাদান ব্যাক্টেরিয়া বা জীবানু ধ্বংস করে ঠিকই, কিন্তু এগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষেও মারাত্মক ক্ষতিকর। এই দুই রাসায়নিকের প্রভাবে প্রজনন ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, মস্তিষ্কেও হতে পারে নানা সমস্যা।


মার্কিন বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই সব রাসায়নিক মিশ্রিত হ্যান্ড ওয়াশের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে জন্ম নিতে পারে ‘ড্রাগ রেজিসটেন্ট জার্ম’ যেগুলিকে কোনও ওষুধের দ্বারাই নিয়ন্ত্রণে আনা বা মেরে ফেলা সম্ভব হবে না।


শতাধিক মার্কিন লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ প্রস্তুতকারী সংস্থার সহশ্রাধিক পণ্যে এই সব ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দাবি, শুধু লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশেই নয়, একাধিক জনপ্রিয় টুথপেস্ট, সাবান, মাউথ ওয়াশ বা ডিটারজেন্টেও এই সব ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। তাই এই সব পণ্য কেনার সময় ভাল করে দেখে নিন। আর এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হাত জীবানু মুক্ত করতে হলে অ্যালকোহল দিয়ে তৈরি পণ্য ব্যবহার করা উচিৎ।


আরও পড়ুন: লকডাউনে কতক্ষণ পর্যন্ত শিশুর টিভি দেখা, মোবাইল ঘাঁটা নিরাপদ! জানুন কী বলছে WHO


কিন্তু হাত জীবানুমুক্ত করতে লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ না ব্যহার করি তাহলে কী করে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচা যাবে? চিন্তার কিছু নেই! এ ক্ষেত্রে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ। যে কোনও শিশুদের ব্যবহারের সাবান (বেবি সোপ) জল মিশিয়ে ভাল করে পেষ্ট করে ফেলুন। এর সঙ্গে খানিকটা গ্লিসারিন আর ডক্টর্স স্পিরিট মিসিয়ে বানিয়ে ফেলুন লিকুইড হ্যান্ড ওয়াশ।