নিজস্ব প্রতিবেদন: ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে লকডাউন দীর্ঘমেয়াদী হলেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতেও যাঁদের প্রায় প্রতিদিনই জরুরি প্রয়োজনে অথবা কাজে বাইরে যেতে হচ্ছে, করোনা আবহে সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে তাঁদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মাস্কের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত মাস্ক পরা অনেকেই প্রায় অভ্যাসে পরিনত করেছেন। তবে এখনও অনেকেই মাস্ক পরার ক্ষেত্রে তেমন স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। অনেকে তো আবার শুধুমাত্র পুলিসের ভয়েই মাস্কে মুখ ঢাকেন! শুনতে অদ্ভুৎ লাগলেও এমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার রিপোর্ট।


সম্প্রতি পাবলিক রিলেসন্স সোসাইটি (Public Relations Society) দেশের ৭০টি ছোট-বড় শহরে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায়। এক হাজারেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলে,তাঁদের পর্যবেক্ষণ করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।


পাবলিক রিলেসন্স সোসাইটির করা এই সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশের প্রায় ৪৪ শতাংশ মানুষ এখনও মাস্ক পরার ক্ষেত্রে তেমন স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। আরও অবাক করার মতো বিষয় হল, দেশের প্রায় ২৮% মানুষ শুধুমাত্র পুলিস দেখলেই মাস্ক পরেন! জেল, জরিমানার ভয়েই তাঁরা মাস্ক পরেন, তা-ও কোনও পুলিসকর্মীকে সামনে দেখতে পেলে। এই সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দেশের প্রায় ৯ শতাংশ মানুষ এখনও মাস্ক পরেনই না।



পাবলিক রিলেসন্স সোসাইটির (Public Relations Society) এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৫৪ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য মাস্ক ব্যবহার করেন আর ৮ শতাংশ অন্যদের ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে মাস্ক পরেছেন বলে জানান। তবে স্কুল, কলেজে যাওয়া তরুণদের ৭১ শতাংশই নিয়মিত, সচেতন ভাবে মাস্ক ব্যবহার করেন। তরুণদের মধ্যে ১৬ শতাংশ মাঝে মধ্যে মাস্ক পরেছেন বলে জানান।


আরও পড়ুন: এই সংস্থার বিমানে চড়ে ভ্রমণের সময় করোনা হলে ১.৩ কোটি টাকা চিকিৎসার খরচ পাবেন যাত্রীরা!


৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে। ভারতেও করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। তবে এখনও দেশের প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা মাস্ক পরার ক্ষেত্রে তেমন স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। অনেকে মাস্ক পরেনও না। অন্তত এমনই ইঙ্গিত মিলেছে পাবলিক রিলেসন্স সোসাইটির (Public Relations Society) এই সমীক্ষায়।