নিজস্ব প্রতিবেদন: আয়ুর্বেদিক, যোগাভ্যাস, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি— এই পাঁচ বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির উপর নির্ভর করে করোনা মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রের AYUSH মন্ত্রক। হোমিওপ্যাথির পর এ বার ৪টি আয়ুর্বেদিক ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে চলেছে AYUSH মন্ত্রক। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অন্যান্য ঘরোয়া, ভেষজ উপাদানের সঙ্গে চবনপ্রাশ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে AYUSH মন্ত্রক। কিন্তু করোনাভাইরাস রুখতে কতটা কার্যকর চবনপ্রাশ? করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলায় শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা বাড়াতে পারে এটি, তা জানতে এ বার পরীক্ষা-নিরীক্ষা (Clinical Trials) শুরু করল ভারতের বৃহত্তম আয়ুর্বেদিক পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা ডাবর ইন্ডিয়া (Dabur India)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চবনপ্রাস ডাবর ইন্ডিয়ার তৈরি অন্যতম আয়ুর্বেদিক পণ্য। তাই এই পন্য শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা বাড়াতে পারে তা পরখ করে দেখে নিতে চাইছে সংস্থা। জানা গিয়েছে, ৬ থেকে ৮ মাস ধরে দেশের পাঁচটি জায়গায় চবনপ্রাস নিয়ে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে সংস্থা। এই পরীক্ষায় দেখা হবে, মারাত্মক শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা চবনপ্রাস সেবনে কমানো যায় কি না!


এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দেশের পাঁচটি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বরোদার পারুল আয়ুর্বেদ হাসপাতাল, জয়পুরের জাতীয় আয়ুর্বেদ হাসপাতাল এবং পুনের সুমতি বাই শাহ আয়ুর্বেদ মহাবিদ্যালয়ের সম্মতি ইতিমধ্যেই মিলেছে। এখনও দুটি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে সংস্থা।


আরও পড়ুন: করোনা রুখতে এবার ৪টি আয়ুর্বেদিক ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পথে কেন্দ্র


জানা গিয়েছে, ৫-৭০ বছর বয়সের ৬০০ জনকে বেছে নিয়ে দুটি দলে ভাগ করা হবে। একটি দলকে শুধুমাত্র প্রতিদিন এক কাপ দুধ দেওয়া হবে। অন্য দলটিকে প্রতিদিন দু’বার এক চা চামচ করে চবনপ্রাশ আর তার পর এক গ্লাস দুধ দেওয়া হবে। তিন মাস ধরে দু’টি দলকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।  এই তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেককেই প্রতি ১৫ দিন অন্তর আলাদা ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তার পরই করোনা রুখতে চবনপ্রাশের কার্যকারিতা সম্পর্কে সিদ্ধান্তে নেবে ডাবর ইন্ডিয়া (Dabur India)।