ডিমকে সিদ্ধ করুন, অথবা ভাজুন, কিংবা হাফ বয়েল করুন, কখনও নিরাশ করে না। তেমনই রান্না করাও সহজ। আবার পুষ্টিগুণে ভরপুর। একটি ডিমে ১৪৩ ক্যালোরি (calorie) এনার্জি থাকে, প্রোটিন থাকে ১২.৫৬। যারা ডিম খেতে ভালোবাসেন, তাঁরা একসঙ্গে ৩-৪ টি ডিম খেয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু অতিরিক্ত ডিম (Too Many Eggs) কতটা ক্ষতিকর সেই সম্পর্কে ধারণা আছে ? পুষ্টিবিদ হিদার হ্যাঙ্কসের মতে, ‘সাধারণত, ডিম খুব স্বাস্থ্যকর খাবার যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে...তবে, খুব বেশি যেকোনো খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এবং ডিমও তার ব্যাতিক্রম নয়।‘ সঠিক পরিমাণে ডিম খাওয়া যেমন কোলেস্টেরলের (colesterol) জন্য ভালো, তেমনই অতিরিক্ত ডিম খাওয়া আপনার হার্টের জন্য ক্ষতিকর। জেনে নেওয়া যাক , অতিরিক্ত ডিম খেলে আপনার শরীরে কী কী সমস্যা হতে পারে! –


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১. কোলেস্টেরলের মাত্রা আকাশচুম্বী হয়ে যেতে পারে!



 


ফিটনেস প্রশিক্ষক এবং লেখক কিয়েরান নাইটের মতে, আপনি যদি রোজ সকালে দুটো করে ডিম খান তাহলে কোলেস্টেরল আপনাকে শেষ করে দিতে পারে। একটি ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে।


২. সমস্যায় পড়ে যেতে পারে আপনারই হার্ট!



খারাপ কোলেস্টেরল আপনার হার্টের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ডিম যেহেতু কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, সেহেতু অতিরিক্ত ডিম খেলে সমস্যা হতে পারে হার্টে। ডাঃ রশ্মি বায়কোডি এই বিষয়ে জানিয়েছেন, যেকোনো কিছুর থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ডিমের কুসুম, হার্টের ক্ষতি করে। আবার, ডিম কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ঠিক এই কারণেই যারা হৃদরোগে আক্রান্ত হন, ডাক্তার তাঁদের ডিমের কুসুম না খাওয়ার পরামর্শ দেন।


৩. গ্যাসের সমস্যা হতে পারে!



ডিম খেলে আপনি যেমন চেহারায় ফুলে যেতে পারেন, তেমনই সমস্যা হতে পারে হজমে।পুষ্টিবিদ হিদার হ্যাঙ্কসের মতে, কারোর যদি ডিমে অ্যালার্জি থাকলে, তার পেট ফোলা থেকে শুরু করে পেটে ব্যথা,গ্যাসের সমস্যা দেখা দেবে। তবে কারোর যদি অ্যালার্জি নাও থাকে এবং সে অতিরিক্ত ডিম খেয়ে ফেলে, তারও এই একই সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৪. রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে!



ডিম হল প্রাকৃতিক চর্বির অন্যতম উৎস। এই চর্বি রক্তে ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।ফলে, আমাদের অগ্নাশয় আরও বেশি করে ইনসুলিন তৈরি করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। একটি গবেষনায় দেখা গেছে অতিরিক্ত ডিম খেলে টাইপ ২ ডায়বেটিসও হতে পারে।


তাহলে প্রশ্ন হল, ঠিক কটা ডিম একজন সুস্থ মানুষের খাওয়া উচিত? পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের , মতে, যারা প্রতিদিন শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাঁদের কখনই  দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। আবার খুব বেশি গরমের দিনে একটির বেশি খাওয়া উচিতই নয়।