নিজস্ব প্রতিবেদন: পৃথিবীতে জলবায়ুগত পরিবর্তন লেগেই থাকে। এরপর আছে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জের। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়ার চরম পরিবর্তনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সম্প্রতি যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে ওয়ার্মিং নয়, বরং শীতের দাপট দেখবে ভারত। ভারতে ঋতু পরিবর্তনের ধরন বিশ্বের নানা দেশের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। এ বছর যেমন উত্তর ভারত জুড়ে তাপপ্রবাহের জের সবচেয়ে বেশি ছিল। আবার তেমন বৃষ্টির প্রবল দাপটে ধসে বিধ্বস্ত হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক এলাকা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দেখা গিয়েছে গ্রীষ্ম, বর্ষা সব আবহাওয়াতেই চরমতম পরিণতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র এবং কেরালায় অস্বাভাবিকভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে ভয়ঙ্কর বন্যা দেখেছে দেশ। তেমনই এবার শীতও মারাত্মকভাবে পড়বে। যা এশিয়ার জন্য বিপদ বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে উত্তর ভারত প্রশান্ত মহাসাগরে উদ্ভূত এল নিনোকে। সেই কারণে প্রবল ঠাণ্ডার সাক্ষী হতে চলেছে ভারত। এল নিনোর সঙ্গে ভারতের দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এল নিনো আবির্ভাবের ফলে ভারতীয় মৌসুমী বায়ু  এবং বৃষ্টিপাত প্রভাবিত হয়।


আরও পড়ুন, Gold Price Today: ছটপুজোয় সোনার দামে ব্যাপক পতন! রেকর্ড থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা কম


'এল নিনো' বা লা নিনা হল একটি স্প্যানিশ শব্দ, যার মানে 'বালক'। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে সৃষ্ট উষ্ণ সমুদ্রস্রোতকে এল নিনো বলে। দক্ষিণ আমেরিকা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের পেরু উপকূলে উষ্ণ সমুদ্র স্রোতটি তৈরি হয় বলে এর নাম- এল নিনো।  এর ফলে স্বাভাবিক আবহাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এল নিনোর ফলে উত্তর গোলার্ধে হিমশীতল শীত সৃষ্টি হয়। ভারতের কিছু অংশে আঘাত হানার সম্ভাবনাও রয়েছে। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুসারে, জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে বিশেষ করে উত্তরের কিছু রাজ্যে ঠান্ডা থাকবে। যেখানে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে বলে পূর্বাভাস। 


এই ঘটনা প্রথম নয়। অতীতে বহুবার হয়েছে। ২০১০, ২০১৬, ২০১৭, ২০২০ সালেও এল নিনোর প্রভাব দেখা গিয়েছে। এক দশকের ব্যবধানে পাঁচবার এল নিনোর প্রভাব দেখেছে ভারত। বিশেষজ্ঞরা সমুদ্রের ক্রমাগত উষ্ণতা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তবে এবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এল নিনো ২০২২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে শীতলতম শীত নিয়ে আসবে। ইতিমধ্যেই দেশে আগাম সতর্কতা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই মতো।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)