ওয়েব ডেস্ক: 'সংস্কৃতি'র ঢাল সামনে রেখে টেলিভিশনের পর্দা থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে নিরোধের বিজ্ঞাপন। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে চলবে না কন্ডোমের বিজ্ঞাপন, কট্টরপন্থীরা সরকারের এই নিষেধাজ্ঞায় বাহবা দিলেও মুখ বেঁকিয়েছেন 'প্রগতিশীলরা'। এমন নিষেধাজ্ঞা আদতে এইডএসের মত রোগ নির্মুল করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, মত নাগরিক সমাজের একাংশের। রাখি সাওয়ান্তের মত অভিনেত্রীরা তো সরাসরি তোপ দেগেছেন। রামদেব বাবাকে নিশানা করে 'পতঞ্জলী কন্ডোম' বানানোর চ্যালেঞ্জও ছুঁড়েছেন তিনি। ২০১৭ সালের শেষের দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা 'নিউজ এয়ারটাইম' নিয়েছে এই 'কন্ডোম নিষেধাজ্ঞা বিতর্ক'। সোশ্যাল মিডিয়াও এ বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত। তবে একবিংশ শতকে ১৮ নেমে আসতেই ছবিটা যেন পাল্টে গেল। নববর্ষের আবহে টিভি সেটের সামনে বসে থাকা 'নাবালক'ই সোশ্যাল সাইটে 'সাবালকে'র ভূমিকায়। সৌজন্যে কন্ডোম নির্মাতা কোম্পানি ডিউরেক্স। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আরও পড়ুন-  রাত বাড়লেই সেক্স প্রোডাক্টের বিক্রি বাড়ে ভারতে!


কিছুদিন আগেই 'সচিনের বিরাটকে দেওয়া হেলমেট পড়ার পরামর্শ', ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই মেম-এ রসিকতার সঙ্গেই মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল সচেতনতার সূক্ষ্ম বার্তাও। এই অভিনব বিজ্ঞাপনের অন্দরেও রয়েছে তেমনই এক সূক্ষ্মতা। নিরাপদ যৌনতায় নিরোধের ব্যবহার যে কতটা আবশ্যিক, তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না নেটিজেনদের। ফেসবুকের দেওয়ালেও এখন তুমুল জনপ্রিয় ডিউরেক্সের এই বিজ্ঞাপন। শয়ে শয়ে মানুষ শেয়ার করেছেন এই পোস্ট। তবে বিতর্কও কম হচ্ছে না। 



আরও পড়ুন-  মদ তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে কন্ডোম


অনেকের মতে, ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে এই পশ্চিমী সভ্যতা একেবারেই বেমানান। পাল্টা যুক্তিতে অনেকেই বলছেন, যেভাবে ভারত জনবিস্ফোরণের দিকে এগোচ্ছে, তাতে এটাই সঠিক সময় কন্ডোম ব্যবহারের। 'এখন যার যৌবন, কন্ডোম ব্যবহারের সঠিক সময় তাঁর', এই সহজ কথাটিই না কি তুলে ধরেতে চাইছে ডিউরেক্স, মত নেটিজেনদের একাংশের। এরপরেও কিন্তু থেকে যাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। 


আরও পড়ুন- পুরুষের মধ্যে কন্ডোম ব্যবহারের সু-অভ্যাস বাড়ছে: গবেষণা


'ক্রিয়েটিভ স্পোর্ট'-এ আপনি তৈরি তো? এই প্রশ্ন কতজনের কাছে পৌঁছবে, কতজনই বা ফেসবুক নোটিফেকিশনের দিকে চোখ বড় করে অপেক্ষা করেছেন এই পোস্টের জন্য? টিনেজ মনে সাবালক হওয়ার আনন্দ দিলেও কন্ডমের এই বিজ্ঞাপন কি আদৌ সার্বিকভাবে সাবালক ভাবনার উদয় ঘটাতে পারছে? এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।