এই গরমে চেটেপুটে খান লাউ-চিংড়ি
আজ রইল তেমনই একটা জিভে জল আনা ঘরোয়া পদ লাউ-চিংড়ি। এই গরমে এর চেয়ে মুখরোচক আর কী বা হতে পারে!
বর্তমানে চূড়ান্ত ব্যস্ততায় ফাস্ট ফুডের উপরেই নির্ভর করতে হয় অধিকাংশ মানুষকে। বাড়ির খাবার বলতে দিনে এক বেলা, তা-ও ফাস্ট ফুড আর বার্গার-পিজ্জা-চিকেন ফ্রাইয় আর নানা বাহারি রেস্তোরাঁর খাবারের চাপে অধিকাংশ দিনেই বাদ পড়ে যায়। তাই ছেলেবেলার ঝালে-ঝোলে-অম্বলের মুখরোচক নানা পদ, তরকারি, চচ্চড়ি— সবের স্বাদই প্রায় ভুলে যেতে বসেছি আমরা।
আজকাল ফেসবুক বা ইউটিউব ভিডিয়োয় রেসিপি দেখে রেস্তোরাঁর নানা মুখরোচক পদ বাড়িতেই বানিয়ে ফেলেন অনেকে। রেস্তোরাঁর নানা পদ যখন বাড়িতেই বানাচ্ছেন, তাহলে বাঙালির ঐতিহ্যের ঘরোয়া পদগুলো বাদ যাবে কেন! আজ রইল তেমনই একটা জিভে জল আনা ঘরোয়া পদ লাউ-চিংড়ি। এই গরমে এর চেয়ে মুখরোচক আর কী বা হতে পারে!
লাউ-চিংড়ি বানাতে লাগবে:—
ছোট ছোট টুকরো করে কাটা ১ কেজি কচি লাউ,
২০০ গ্রাম ছোট বা মাঝারি মাপের চিংড়ি (চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারেন বা খোসা সমেতও রাখতে পারেন),
হলুদের গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো আর ধনে গুঁড়ো মিলিয়ে ২ চামচ,
২ চামচ পেঁয়াজ বাটা,
১ চামচ রসুন বাটা,
১ চামচ আদা বাটা,
স্বাদমতো নুন,
২ চামচ তেল,
আধা কাপ টমেটো কুচি,
সামান্য ধনেপাতা কুচি,
আধা কাপ দুধ,
গোটা কাঁচালঙ্কা কয়েকটা (স্বাদমতো)।
আরও পড়ুন: দুপুরে হোক বা রাতে, পটলের দো পেঁয়াজা থাক পাতে
লাউ-চিংড়ি বানানোর পদ্ধতি:—
লাউ-চিংড়ির ঝোল বা তরকারি সুস্বাদু করতে হলে মশলা যত কম দেওয়া যায় ততই ভাল।
প্রথমে কড়াইতে তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে গরম করে নিন।
তেল গরম হয়ে গেলে তাতে পেঁয়াজ, রসুন, আদা বাটা ও গুঁড়া মশলাগুলো একসঙ্গে দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন।
মশলা কষিয়ে নেওয়ার পর চিংড়ি আর টমেটো কুচি দিয়ে ফের মিনিট পাঁচেক কষিয়ে নিন।
এ বার মশলা ঘন হয়ে এলে এতে লাউ দিয়ে ২ কাপ গরম জল দিন। স্বাদ মতো নুন ছড়িয়ে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট নেড়েচেড়ে রান্না করুন।
এর পর রান্নায় দুধ আর সামান্য চিনি ছড়িয়ে দিন। কাঁচালঙ্কা লম্বা লম্বা ফালি করে কেটে, ধনেপাতা কুচি ছিটিয়ে দিয়ে আরও ৮-১০ মিনিট রান্না করুন (লাউ সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত)।
ব্যস, এ বার আঁচ থেকে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন জিভে জল আনা লাউ-চিংড়ি।