জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নতুন এক গবেষণা বলছে, নারীর অশ্রুর ঘ্রাণ পুরুষের আগ্রাসী মনোভাবকে প্রশমিত করতে পারে। কান্নাকাটি যে উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে শান্ত করে, এটা বোধ হয় মানুষ এভাবে কখনও ভেবে দেখেনি। এবার সেই ভাবনাও ঢুকল মানুষের চর্চার বৃত্তে। গবেষকেরা বলছেন, নারীর কান্নার ঘ্রাণে পুরুষের আগ্রাসী মনোভাব অন্তত ৪৪ শতাংশ কমে আসে! গবেষণাটি প্রকাশ করেছে পিএলওএস বায়োলজি (PLOS Biology)। এতে বলা হয়েছে, পুরুষের মস্তিষ্কের যে অংশ তাঁকে আক্রমণাত্মক করে তোলে, নারীর কান্নার ঘ্রাণ সেই অংশকেই দুর্বল করে দেয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Palestine-Israel Conflict: 'গাজা ছেড়ে প্যালেস্টাইনিদের অন্য দেশে চলে যাওয়া উচিত'! কে বললেন এ কথা? 


স্তন্যপায়ী প্রাণীর গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চোখের জলে যে রাসায়নিক থাকে, তার  প্রভাব বেশ প্রখর। পুরুষ-ইঁদুরের অশ্রু নিয়ে এ জাতীয় পরীক্ষা অতীতে হয়েছে। কিন্তু মানুষের কান্না কতটা প্রভাব রাখতে পারে, তা স্পষ্ট ছিল না এতদিন। এবার সেই গবেষণাও হল। মানুষ কেন কাঁদে, তার একটি ব্যাখ্যাও দাঁড় করানো হয়েছে গবেষণায়। বলা হয়েছে, কান্না পরিস্থিতিকে শান্ত করার সম্ভবত এক জৈবিক কৌশল। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এই তথ্য যে, আবেগজাত অশ্রুতে আগ্রাসন কমে ৪৪ শতাংশ! গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল, পরিস্থিতি শান্ত করার ক্ষেত্রে কান্নার ক্ষমতা কতটা তা পরীক্ষা করা।


গবেষণার জন্য ছ'জন নারীর অশ্রু সংগ্রহ করেছিলেন গবেষকেরা। অশ্রু সংগ্রহ করার আগে তাঁদের সঙ্গী পুরুষদের ভিডিও গেম খেলতে দেওয়া হয়, যা তাদের আগ্রাসী মনোভাবকে আরও উসকে দেয়। যখন ওই মহিলাদের পুরুষসঙ্গীরা ভিডিও গেমটি খেলছিলেন তখন স্ক্যানার দিয়ে তাঁদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিমাপ করছিলেন গবেষকেরা। সেটা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সঙ্গিনীদের কান্নার ঘ্রাণ পেয়ে গবেষণায় অংশ নেওয়া পুরুষদের আগ্রাসী আচরণ ৪৩.৭ শতাংশ কমে গিয়েছে! ব্রেন ইমেজিং পরীক্ষায় দেখা যায়, কান্নার গন্ধ পেয়ে আগ্রাসী মনোভাবের সঙ্গে যুক্ত মস্তিষ্কের অংশটি তার কার্যকলাপের মাত্রা কমিয়ে দিয়েছে।


আরও পড়ুন: Japan: দুই বিমানের সংঘর্ষে মৃত ৫! আতঙ্কের আবহ এয়ারপোর্টে...


গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'ওয়াইজম্যানস ব্রেন সায়েন্সেস' বিভাগের বিজ্ঞানী নোয়াম সোবেল বলেন, 'অশ্রু মস্তিষ্কের ঘ্রাণজনিত রিসেপ্টরগুলোকে সক্রিয় করে তোলে আর আগ্রাসন-সম্পর্কিত অংশটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। ফলে, অশ্রুতে আগ্রাসী আচরণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে'। অশ্রুর রাসায়নিকের মাধ্যমে জৈবিক সংকেত দিয়ে পুরুষের আক্রমণাত্মক আচরণ কতটা পরিবর্তন করা সম্ভব, তা দেখিয়েছে এই গবেষণা। গবেষকেরা জানিয়েছেন, অশ্রুর গন্ধ নাকে এলে টেস্টোস্টেরন কমে এবং টেস্টোস্টেরন কমলে তা নারীর তুলনায় পুরুষের আগ্রাসী আচরণের উপরই বেশি প্রভাব ফেলে!


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)