টয়লেট পেপার চুরি রুখতে বেজিং-এ ফেস স্ক্যানার
চুরি হয়ে যাচ্ছে টয়লেট পেপার। হ্যাঁ, এমনই বেআক্কেলে সমস্যার সম্মুখীন বেজিং-এর এক ব্যস্ততম পাবলিক টয়লেট। আর তাই চুরি ঠেকাতে `ফেস স্ক্যানিং`-এর অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে ওই পাবলিক টয়লেট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই `চোর ধরার কল`?
ওয়েব ডেস্ক: চুরি হয়ে যাচ্ছে টয়লেট পেপার। হ্যাঁ, এমনই বেআক্কেলে সমস্যার সম্মুখীন বেজিং-এর এক ব্যস্ততম পাবলিক টয়লেট। আর তাই চুরি ঠেকাতে 'ফেস স্ক্যানিং'-এর অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে ওই পাবলিক টয়লেট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই 'চোর ধরার কল'?
শৌচালয় ব্যবহারকারী প্রতিটি ব্যক্তিকেই 'ফেস স্ক্যানারে'র সামনে দাঁড়াতে হবে ৩ সেকেন্ডের জন্য। আর তারপরেই বেরিয়ে আসবে ৬০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ টয়লেট পেপারের অংশ। কোনও ব্যক্তি একবার টয়লেট পেপার সংগ্রহ করার ঠিক পরেই আবারও তা সংগ্রহ করতে চাইলে, তাঁকে অন্তত ৯ মিনিট সময় অপেক্ষা করতে হবে। আর কেউ যদি অল্প সময়ের ব্যবধানে বারংবার 'ফেস স্ক্যানার' যন্ত্রের মাধ্যমে টয়লেট পেপার বের করতে চায়, তাহলে যন্ত্রই সেই অনুরোধ বাতিল করে দেবে। তাহলে বুঝতে পারছেন তো কি কঠিন চেকিং!
মনোবিজ্ঞানী ও সমাজতাত্ত্বিকদের একাংশের মতে, চুরি সব সময়ই মূল্যবোধের অবক্ষয়কে প্রকাশ করে। কিন্তু এ ধরণের তুচ্ছ জিনিসকে 'অন্যায়ভাবে' লাভ করার ইচ্ছাতেও মানুষ যখন লাগাম পড়াতে পারে না, তখনই বোঝা যায় 'কনজিমারইজম'-এর কুপ্রভাব এবং নৈতিকতার পতন যুগ্মভাবে কতটা নিচে নামাচ্ছে আমাদের সমাজকে। (আরও পড়ুন- টিভি, মোবাইলের নেশায় ডায়াবেটিস, সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য)