ওয়েব ডেস্ক: সি বিচে সান বাথ। পাশে বিকিনি পরে সুন্দরী 'গার্ল ফেন্ড'। সঙ্গে এক পাত্তর 'রেড ওয়াইন'। এমন ছুটির আমেজ কার না ভালো লাগে। এই ভালো লাগা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায় যদি হাতের ওয়াইনটি হয় বিশ্বের সেরা ওয়াইনগুলোর মধ্যে একটা। কিন্তু কোথায় গেলে ছুটির আমেজ আর সেরা ওয়াইন দুটোই একসঙ্গে পাওয়া যাবে?
জেনে নিন এমন ১০টি জায়গার কথা যেখানে পাওয়া যায়  সেরা ওয়াইন: -


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১. আর্জেন্টিনাঃ- আর্জেন্টিনা মানেই মারাদোনা, মেসির দেশ। ফুটবলের সেরাদের দেশ। কিন্তু এদেশ ফুটবল ছাড়াও আরও একটা জিনিসে সেরা। ওয়াইন। ওয়াইন প্রেমীদের আর্জেন্টিনায় গেলে অবশ্যই ঘুরে আসতে হবে  মেন্ডোজা আর স্যান জুয়ানসের বিশাল ওয়াইন তৈরির কারখানা। একবার টেস্ট করে আসতে হবে বিশ্বের


সবথেকে উঁচুতে অবস্থিত আঙুর ক্ষেত থেকে তৈরি বোডেগা কোলোমের ওয়াইন।


২. অস্ট্রেলিয়াঃ- উনবিংশ শতাব্দিতে অস্ট্রেলিয়া যখন ঔপনিবেশিকদের দখলে ছিল তখন তারা গোটা দেশ জুড়ে প্রচুর আঙুর ক্ষেত তৈরি করে গিয়েছিল। আর সেই ক্ষেতের আঙর অস্ট্রেলীয়দের কাছে মোটেও টক ছিল না। বরং মিষ্টিই ছিল। কারণ সেইসব ক্ষেত থেকেই তৈরি হয় বিশ্বের সেরা ওয়াইন। অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম আভওয়ার জন্য রেড, হোয়াইট দু'ধরণের ওয়াইনই পাওয়া যায়। তাই অস্ট্রলিয়ায় গেলে একবার চেখে দেখতেই হবে ওয়াইন।


৩. চিলিঃ- সুরা পানের আরও একটি ভালো ডেস্টিনেশন হলো চিলি। কয়েকশ বছর ধরে এখানে রমরমিয়ে চলছে ওয়াইনের ব্যবসা। ৭০ থেকে ৮০-এর দশকে কিছুটা দুরবস্থা দেখা গেলেও এখন আবার সেরা চিলির 'ওয়াইন'।


৪.  ফ্রান্সঃ- ফ্রেঞ্চ ওয়াইনের ইতিহাস জানতে হলে অনেকটাই ফ্ল্যাশ ব্যাকে যেতে হবে। ফরাসীরা মদের নেশায় ডুবেছিলেন ৬ খ্রীস্টপূর্বাব্দেরও আগে থেকে। শুধু নিজেরাই সে সবাদ পেয়ে থেমে থাকেননি, উত্তরসুরীদের জন্য লিখে রেখে গেছিলেন সেই পদ্ধতি। সেই পদ্ধতিতেই পরবর্তীতে ওয়াইন তৈরি করতে শুরু করে ফরাসীরা। সে মদের স্বাদ না নিলে মদ খাওয়াটাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। শুধু খেলেই চলবে না, ঘুরে দেখেও আসতে হবে ফ্রান্সের ওয়াইন তৈরির কারখানাগুলো।


৫.জার্মানীঃ- জার্মানী হলো এমন এক দেশ সেখানে গোটাগুটি একট উৎসব হয় মদ খাওয়ার জন্য। সেই উৎসবে থাকে নানা রকমের 'লোকাল' ওয়াইন। আর এইসব ওয়াইনের স্বাদ নিতে একবার চাক্ষুস করে  আসতেই হবে জার্মানীর অক্টোবর ফেস্ট।


৬. ইতালিঃ- ইতালিতে গেলে যেমন 'মিস' করা যাবে না রোম, যেমন ভেনিস না দেখলে সার্থক হবে না চোখ, তেমনই  মেনু থেকে বাদ দেওয়া যাবে না ইতালির ওয়াইন। ইতালির জলবায়ু আঙুর উতপাদনের জন্য সবথেকে অনুকূল। তাই বিশ্বর বেশিরভাগ নামিদামী ওয়াইনই আসে ইতালি থেকে।


৭.পর্তুগালঃ- ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ছাড়া আরও একটা জিনিস যা পর্তুগালকে বিশ্বের ম্যাপে এগিয়ে রেখেছে তা হলো ওয়াইন। দেশের গন্ডী ছাড়িয়ে পর্তুগালের ওয়াইন এখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও পারি দিয়েছে। পর্তুগালের দুই বিখ্যাত দুই ওয়াইন উৎপাদক স্থান ডউরো ভ্যালি ও পিকো ভ্যালি বর্তমানে ইউনেসকো হেরিটেজের অন্তর্গত। পর্তুগালে গেলে তাই একবার দেখে আসতেই হবে আঙুর ক্ষেত।


৮.  দক্ষিণ আফ্রিকাঃ- দক্ষিণ আফ্রকার একটা বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে আঙুর ক্ষেত। কেপ টাউন কে বলা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার 'হার্ট অব ওয়াইন রিজিওন'।


৯. স্পেনঃ- যিনি সখে নয়, ভালোবেসে ওয়াইন খান তার অবশ্যই যাওয়া উচিত স্পেনে। কাতালোনিয়া, ভ্যালেনসিয়ার ওয়াইন শুধু স্বাদেই বাজিমাত করবে না বরং দেখার মতো এখানকার ওয়াইন তৈরি ও টেস্টিংয়ের পদ্ধতি।


১০. ইউএসএঃ- দেশের প্রায় সব স্টেটেই একটি করে আঙুর ক্ষেত পাওয়া যাবে। কিন্তু আমেরিকার ওয়াইনের সিংহ ভাগটাই আসে ক্যালিফোরনিয়া থেকে। তাই কাজেই হোক বা অকাজে, মার্কিন মুলুকে গেলে খেতেই হবে ওদেশের ওয়াইন।