বিয়ের (Marriage) পরই এই চারটি চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয় মেয়েদের, আপনি তৈরি তো?
তাই জন্যই তো, প্রমিক বা প্রেমিক হওয়ার থেকে হয়তে স্বামী বা স্ত্রী হওয়াটা অনেক বেশি কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং।
নিজস্ব প্রতিবেদন- বিয়ে। এই ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ঠিকঠাক না হলে কিন্তু জীবনে সমূহ বিপদ নেমে আসতে পারে। আবার একদম সঠিক সিদ্ধান্ত আপনাকে আজীবনের জন্য সুখের সন্ধান দিতে পারে। তাই, জীবনের আর পাঁচটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে বিয়েও বিবেচিত হওয় উচিত। ছেলে হোক বা মেয়ে, এখনকার দিনে অবশ্য দুপক্ষই বিয়ের ব্যাপার খুঁতখুঁতে। জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তায় কার্পণ্য করতে রাজি নয় এই প্রজন্ম। বিয়ের আগে ও পরের জীবনে একের এক পরিবর্তন আসে। স্বামী ও স্ত্রী, দুজনকেই একের পর এক চ্যাবেঞ্জ সামলাতে হয়। তাই জন্যই তো, প্রমিক বা প্রেমিক হওয়ার থেকে হয়তে স্বামী বা স্ত্রী হওয়াটা অনেক বেশি কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং।
বিয়ের ঠিক পর পরই মেয়েদের এই চারটি দিক সামলাতে হয়। বলতে পারেন, চারটি চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়। কী সেগুলো! আসুন জেনে নেওয়া যাক-
একাকিত্ব- বিয়ের ঠিক পরেই মেয়েরা একাকিত্বে ভোগে। বাড়িতে বাবা-মা, ভাই-বোনকে ছেড়ে গিয়ে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। নতুন মানুষদের আপন করে ভাবতেও একটু সময় লেগে যায়। মাঝের এই সময়টাতে মেয়েরা কখনও কখনও নিজেদের একা বলে মনে করতে পারে। এই একাকিত্বের অনুভূতি জয় করে নতুন জীবনে মানিয়ে নেওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে অনেকেই একাকিত্বের অনুভূতি জাহিরই করতে পারেন না।
বাড়ির বউ হিসাবে দায়িত্ব- বিয়ের আগে জীবন-যাপন একরকম। নিজের বাবা-মায়ের প্রতি সবারই দায়িত্ব থাকে। তবে সেই দায়িত্বে ফাঁক-ফোকড় থাকলেও অনেক সময় তা নজরে পড়ে না। স্বাধীনত উপভোগের সুযোগ থাকে। কিন্তু বিয়ের পর বউমা হিসাবে দায়িত্ব বাড়ে। তখন কিন্তু মেয়ে ও বউমা, দুটি ভূমিকাতেই মেয়েদের দায়ি্ব পালন করতে হয়। বড় চ্যালেঞ্জ।
স্বনির্ভর বউমা- আপনি যদি চাকুরিজীবি হন, তা হলে কাজ ও পরিবারের মধ্যে ব্যালান্স বজায় রাখাটাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বিয়ের আগে অনেক সময় বাড়ির কাজ এড়িয়ে গেলেও না হয় চলত। কিন্তু বিয়ের পর নিজের সংসার। সেখানে নিজেকই সবটা দেখতে হয়। তার উপর ব্যক্তিগত জীবন বলেও একটা ব্যাপার থাকে। কর্মরত মহিলাদের দায়িত্ব অপেক্ষাকৃত বেশি।
ব্যক্তিগত পরিসর রক্ষা- বিয়ের আগে নিজের ঘর। সেখানে ব্যক্তিগত জীবন অনেকটাই নিজের। কিন্তু বিয়ের পর সেই সুযোগ কম। এমনকী, অনেক সময় নিজের জন্য সময় বের করে নেওয়াটাও কঠিন। ব্যক্তিগত পরিসর ছোট হলে কিন্তু স্ট্রেস আসতে বাধ্য। তাই নিজের জন্য সময় বের করাটা বড় চ্যালেঞ্জ। কাজ, সংসারের পরও নিজের জন্য বাঁচার মধ্যে কোনও ভুল নেই। তবে চ্যালেঞ্জ আছে।