নিজস্ব প্রতিবেদন: পাতের খাবার হাতে তোলেন না? টেবিল ম্যানার্স? চামচ ছাড়া গতি নেই? ভুল করছেন। হাতে খেলে ফল মেলে হাতেনাতে। শরীর সুস্থ রাখতে চামচ ছেড়ে হাতে খান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আধুনিকতার উঠোনে পা রেখে বদলে যাচ্ছে লাইফস্টাইল। বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাসও। খাবার টেবিলেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। কাঁটাচামচ, ন্যাপকিন ছাড়া খাবার মুখে তুলতেই ভুলে গেছে মানুষ। হাত সেখানে ব্রাত্য। রেস্টুরেন্টে গিয়ে কেউ হাত দিয়ে খেলে তো তাঁকে ভিনগ্রহের প্রাণী হিসাবেই ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফিরিয়ে আনতে হবে সেই অতীত ঐতিহ্য।


বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, টেবিল ম্যানার্স ছেড়ে খেতে হবে হাতেই। একদম কব্জি ডুবিয়ে চেটেপুটে। শরীর সুস্থ রাখতে এটাই জরুরি, দাবি বিশেষজ্ঞদের।


আরও পড়ুন- কে বলেছে বেগুন আসলে বে-গুণ!


বেদ-এ বলা আছে, যে কোনও রোগ শরীরে বাসা বাঁধার পিছনে বায়ু-পিত্ত-কফের একটা ভূমিকা আছে। এই ৩টি উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য ফিরে এলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তা থাকে না।


স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিশারদদের  দাবি, খাবার সময় হাতের ব্যবহারে একাধিক পেশির ব্যায়াম হয়। ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। হাতের পাশাপাশি সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ বাড়ে। বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্তও পৌছে যায়। শরীরের প্রতিটি অংশ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।


একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁটা-চামচের বদলে হাত দিয়ে খাবার খেলে প্রতিটি দানার সঙ্গে মনের একটা সংযোগ তৈরি হয়। মনে স্নায়বিক সংযোগ বৃদ্ধি পায়। এতে মনোযোগ বাড়ে। হাতের একাধিক নার্ভ সচল হলে সরাসরি প্রভাব পড়ে ব্রেনের ওপর।


আধুনিক গবেষণা বলছে, হাত দিয়ে খাওয়ার সময় আঙুলের একেবারে মাথার কাছে থাকা নার্ভগুলো যখনই খাবারের স্পর্শ পায়, তখনই একটি বিশেষ সিগন্যাল পেটে পৌছে যায়। ফলে, খাবার শরীরে প্রবেশ করার আগেই পাকস্থলী নিজের কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। এতে হজম সহজ হয়। হাত দিয়ে খেলে হাতে থাকা বেশ কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া মাঝে মধ্যে শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো হজমের উন্নতি ঘটায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কাঁটা-চামচের সংস্পর্শে এসে ফাস্ট ফুড শরীরে গেলে ব্লাড সুগারের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যা টাইপ টু ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।


তাহলে, বুঝলেন তো হাতের হাতযশ...তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে হাত।