জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হিন্দু ধর্মে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমাকে অত্যন্ত বিশেষ বলে মনে করা হয়। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে এই ব্রত পালন করা হয়। বলা হয়, এই দিন ভগবান বিষ্ণু ও চন্দ্রদেবের পুজো করলে সব সুখ লাভ হয়। সেই সঙ্গে এই দিনে পবিত্র নদ-নদীতে স্নান করে দান করলে পুণ্যলাভ হয়। এছাড়া, সেই জাতক-জাতিকা পাপ থেকে মুক্তি লাভ করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন,Budh Grochar: বুধাদিত্য যোগে এবার ভাগ্যে নয়া সুখযোগ! অর্থপ্রাপ্তি হাতের মুঠোয়


হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এবার আষাঢ় পূর্ণিমা পড়ছে 3 জুলাই। কথিত আছে, পূর্ণিমা তিথিতে মা লক্ষ্মীর জন্ম হয়। তাই এই দিন মা লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ কৃপা পাওয়ার জন্য কিছু ব্যবস্থা করা হয়। এ দিন যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা দ্বিগুণ ফল দেয়। পূর্ণিমা তিথিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, আসুন জেনে নেওয়া যাক। তার আগে জেনে নিন পূর্ণিমা তিথির শুভ মুহূর্ত।


আষাঢ় পূর্ণিমা তিথি ২ জুলাই সকাল ৮.২১ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ৩ জুলাই বিকাল ৫.৮ মিনিটে শেষ হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে আষাঢ় পূর্ণিমার দিনে দানের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এই দিনে, অভাবীকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বস্ত্র, শস্য, লতা ইত্যাদি দান করা উচিত। কথিত আছে যে এই জিনিসগুলি দান করলে মা লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণু খুশি হন এবং সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন।


শাস্ত্র মতে, আষাঢ় পূর্ণিমার দিনে ভগবান বিষ্ণুর মন্দিরে গিয়ে বিষ্ণু সহস্ত্রনাম পাঠ করা উচিত। কথিত আছে যে দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণু এতে সন্তুষ্ট হন এবং তাদের দীর্ঘায়ু দান করেন। শাস্ত্র অনুসারে, দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণু খির খুব পছন্দ করেন। পূর্ণিমার দিনে পূজায় খির দিতে হবে। এতে প্রসন্ন হয়ে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মী সৌভাগ্যের আশীর্বাদ করবেন।


আষাঢ় পূর্ণিমার দিন রাতে চন্দ্রদেবের পূজা করে উপবাস ভাঙে। মানসিক চাপে ভুগলে আষাঢ় পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখা শান্তি পায়। এর সাথে সাথে কুণ্ডলীতে চন্দ্রের অবস্থানও শক্তিশালী হয়।


আরও পড়ুন, Shravan 2023: কবে শ্রাবণ? ১৯ বছর পর বিরল যোগ, এবার শ্রাবণ দু'মাসের...


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)