নিজস্ব প্রতিবেদন: ম্যাকডোনাল্ডস-এ গিয়ে আপনার কী ইচ্ছে করে? পিত্জা বা বার্গার নিশ্চয়ই! কিন্তু বলতে পারবেন, ম্যাকডোনাল্ডস-এর (McDonald's) আউটলেটে এমন কী খাবার পাওয়া যায়, যা খেলে ভাল ঘুম হয়! অথবা সেখানে এমন কোন খাবার পাওয়া যায়, যা খাওয়ার পর আর বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করে না! প্রশ্ন শুনে অবাক হচ্ছেন? মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকা সত্ত্বেও অসংখ্য মানুষ রাতের পর রাত কাটাচ্ছেন ম্যাকডোনাল্ডস-এর আউটলেটে। হাত-পা এলিয়ে, টেবিলে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছেন তাঁরা। কেন জানেন? আসলে একটু শান্তিতে ঘুমোতে চান ওঁরা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অদ্ভুত শুনতে লাগলেও, এটাই সত্যি! হংকংয়ের ম্যাকডোনাল্ডস-এর ২৪ ঘণ্টার আউটলেটগুলিতে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘুমোতে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। দিব্য রাত কাটাচ্ছেন সেখানে। সেখানেই বেঘোরে ঘুমোচ্ছেন টেবিলে মাথা রেখে! কিন্তু হাজার হাজার মানুষের এমন অদ্ভুত আচরণের কারণ কী?



সম্প্রতি একটি সংস্থা এই অদ্ভুত আচরণের কারণ খুঁজতে একটি সমীক্ষা চালায়। আর এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য!


হংকংয়ে ১১০টি ম্যাকডোনাল্ডস আউটলেটে যাঁরা রাত কাটাচ্ছেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই বাড়ি-ঘর, মাথা গোঁজার একটা নির্দিষ্ট ঠিকানা রয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই কম-বেশি আয় করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ম্যাকডোনাল্ডস আউটলেটে তরুণ থেকে প্রবীণ— সকলেই রাত কাটাচ্ছেন শুধু নিশ্চিন্তে ঘুমানোর জন্য! এঁরা প্রত্যেকেই কি নানা অশান্তিতে জর্জরিত? সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এর কারণ হল, হংকংয়ের বর্তমান আর্থসামাজিক সমস্যা। শহরটিতে প্রতি বর্গফুট ঘরের দাম বর্তমানে গড়ে ১ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মূদ্রায় যা প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি)।


আরও পড়ুন: আজও মেয়েকে কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে আনতে যান ৮৪ বছরের বৃদ্ধা!



ম্যাকডোনাল্ডস-এ রাত কাটানো প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ জানাচ্ছেন, তাঁরা আকাশছোঁয়া দৈনন্দিন খরচের চাপে নাজেহাল! কারও বাড়ি ভাড়া দেওয়ার মতো টাকা থাকে না তো কারও গরম লাগলেও ঘরে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার করার ক্ষমতা নেই! কেউ আবার অতিরিক্ত বিদ্যুতের বিল মেটাতে গিয়ে জেরবার!


এমনই নানা সমস্যায় জর্জরিত মানুষেরা এখানে ভীড় করেন একটু শান্তিতে বিশ্রাম নেবেন বলে। বদলে সামান্য পিত্জা বা বার্গার অর্ডার করলেই হল!