জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হোলি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় এবং পবিত্র উত্সব, যা সারা বিশ্বের ভারতীয়রা অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে উদযাপন করে। এ বছর হোলি পড়েছে ৮ মার্চ। হোলির আগে ছোট হোলি বা হোলিকা দহনও সেলিব্রেট করে সকলে। বাঙালি মতে এই উৎসব ন্যাড়া পোড়া। 'আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বল হরি বোল।' প্রায় প্রতিটি বাঙালি শুনেছে এই ছড়া। দোলের আগের দিন ন্যাড়া পোড়া বাঙালির বহুদিনের রীতি। ছোটরাই সাধারণত এই দিনটা হইহই করে পালন করে। এই দিন পাতার স্তুপে আগুন দিয়ে বুড়ির ঘর জ্বালানো হয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Budh Gochar 2023: ঠিক ১০ দিন পরে খুলবে এই রাশির জাতকদের ভাগ্য, টাকার বৃষ্টি দেবে বুধ!


তবে হোলিকা দহনের অগ্নিকে নমস্কার করুন। জমিতে জল ঢালুন। এরপর আগুনে গম, গোবরের পিঠা এবং কালো তিল দিন। তারপর তিনবার আগুন প্রদক্ষিণ করুন। সুস্বাস্থ্যের জন্য হোলিকার আগুনে কালো তিল দিন। কাজের জন্য আগুনে হলুদ সর্ষে দিন। আগুনে এলাচও দিতে পারেন। 


কেনই বা এটি পালিত হয়? পুরাণেই রয়েছে হোলিকা দহনের গল্প। প্রাচীনকালে হিরণ্যকশিপু নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি ভগবান বিষ্ণুর ঘোর বিরোধী। এদিকে তাঁর পুত্র প্রহ্লাদ ভীষণ বিষ্ণুভক্ত। রাতদিন শুধু হরিনাম জপত। কিন্তু এদিকে হরি হিরণ্যকশিপুর চরম শত্রু। ক্রুদ্ধ দৈত্যরাজ বাধ্য হয়েই ছেলেকে সহবত শেখানোর নানারকম চেষ্টা করতে লাগলেন। কিন্তু কোনও লাভ হল না। হিরণ্যকশিপুর বোন ছিলেন হোলিকা। বোনকে তিনি নির্দেশ দেন, প্রহ্লাদকে মেরে ফেলতে। সেইমতো প্রহ্লাদকে মারতে যান হোলিকা। প্রহ্লাদকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে গিয়ে নিজেই সে আগুনে পুড়ে মরেন।


কিন্তু তাতে ফাল্গুনী পূর্ণিমার ঠিক আগের রাতে হোলিকা ভাইপো প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে অগ্নিকুন্ডে প্রবেশ করে। ভক্তের ডাকে ব্যাকুল বিষ্ণুর মহিমায় হোলিকা পুড়ে যায় কিন্তু অক্ষত থাকে প্রহ্লাদ। তাই নাড়াপোড়া আসলে একটি আনন্দের উৎসব। এই দিন সব দুঃখকে জ্বালিয়ে আনন্দের উদযাপন করা হয়। শুকনো ডাল, পাতা, খড়, গাছের ডালপালা জোগাড় করে বানানো হয় বুড়ির ঘর। তার পর সেই বুড়ির ঘরে আগুন দেওয়া হয় ফাল্গুন পূর্ণিমার রাতে। এটাই ন্যাড়া পোড়ার রীতি। 


হোলিকা দহনের সময় ভাঙা আসবাবপত্র ঘরে কখনও রাখবেন না। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পুরানো এবং ভাঙা জিনিসগুলিতে নেতিবাচক শক্তি থাকে, তাই তাদের ঘর থেকে সরিয়ে দেওয়া ভাল বলে মনে করা হয়। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী, বসন্তকালে দোল বা হোলি উৎসব পালন করা হয় । বসন্ত ঋতু মানেই আবহাওয়ার  এক বিরাট পরিবর্তন অনুভূত হয়। কখনও গরম তো আবার কখনও ঠান্ডা, এই রকমই মিশ্র আবহাওয়া সৃষ্টি হয় এই সময়ে। যার ফলে বাতাসে এই সময় যাবতীয় রোগ-জীবাণু-ব্যাকটেরিয়া ভেসে বেড়ায়। এই কারণেই  ঝরে যাওয়া শুকনো নারকেল পাতা, সুপুরির পাতা ইত্যাদি জড়ো করে তা পুড়িয়ে দেওয়ার হয়। এর ফলে  সৃষ্টি হওয়া জীবাণু আগুনের সংস্পর্শে এসে নষ্ট হয়ে যায়। 



আরও পড়ুন, Holi 2023: আসছে রঙ-উৎসব; জেনে নিন দোলের দিন কী করবেন, কী করবেন না...


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)