কী করে বুঝবেন ট্রায়াল রুম বা টয়লেটের আয়নাটা বিপজ্জনক কিনা?
অনেক ট্রায়ালরুম বা টয়লেটে অসাধু উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য `টু-ওয়ে মিরর` লাগানো হচ্ছে। এই ধরণের আয়নার মাধ্যমে আপনার গোপন মূহূর্তের ছবি বা ভিডিও উঠে যাচ্ছে আয়নার অন্য দিক থেকে। কিন্তু কীভাবে বাঁচবেন এই কেলেঙ্কারির থেকে জেনে নিন-
ওয়েব ডেস্ক: অনেক ট্রায়ালরুম বা টয়লেটে অসাধু উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য 'টু-ওয়ে মিরর' লাগানো হচ্ছে। এই ধরণের আয়নার মাধ্যমে আপনার গোপন মূহূর্তের ছবি বা ভিডিও উঠে যাচ্ছে আয়নার অন্য দিক থেকে। কিন্তু কীভাবে বাঁচবেন এই কেলেঙ্কারির থেকে জেনে নিন-
আঙুলের নখ দিয়ে পরীক্ষা- এই পদ্ধতিটাই সবচেয়ে সেরা। এই উপায়ে খুব সহজেই আপনি বুঝে যাবেন যে আয়নাটা 'টু-ওয়ে মিরর' নাকি নিরাপদ সাধারণ আয়না। আয়নার উপর সোজাসুজি আপনার একটা আঙুল রাখুন, রেখে দেখুন আয়নায় যে প্রতিবিম্ব (রিফলেকশন) তৈরী হয়েছে আর আপনার আঙুলটার মধ্যে কোনও ফাঁক আছে কিনা। যদি ফাঁক থাকে তাহলে বুঝবেন আয়নাটি নিরাপদ সাধারণ সেকেন্ড সার্ফেস মিরর। কিন্তু যদি আঙুল আর প্রতিবিম্বের মধ্যে ফাঁক না থাকে, তাহলেই বিপদ! নিশ্চিত হতে পারেন যে ওটা 'টু-ওয়ে মিরর' যা ট্রায়ালরুমের মধ্যে বা টয়লেটে আপনার গোপন মূহূর্তকে 'পাবলিক' করে দিচ্ছে।
টর্চ পরীক্ষা- এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হলে আপনাকে ট্রায়ালরুমে বা টয়লেটে ঢুকে সেখানকার আলোটা নিভিয়ে দিতে হবে প্রথমে এবং আপনার মোবাইলের ফ্ল্যাশ বা টর্চটা জ্বেলে সোজাসুজি আয়নায় আলো ফেলতে হবে। যদি 'টু-ওয়ে মিরর' হয় তাহলে, আপনি এবার সহজেই দেখতে পাবেন আয়নার আপর প্রান্তে যে বা যারা রয়েছে তাদের। আর সাধারণ আয়না হলে আপনি কিছুই দেখতে পাবেন না। তখন আপনি নিরাপদ।
আরও পড়ুন- নয়া কেলেঙ্কারি, সাবধান!!! ট্রায়াল রুমে আপনার নগ্ন রূপের ছবি তুলছে আয়নাও!
শপিংমল বা মাল্টিপ্লেক্সে তো যেতেই হবে। কিন্তু এই সচেতনতাগুলোও মেনে চলতে হবে নিজের জন্য।