ওয়েব ডেস্ক: আপনার সামনের মানুষটা আপনার খুব কাছের, আপনার খুব চেনা। আপনি তাঁকে খুব বিশ্বাস করেন। কিন্তু সেই ব্যক্তি যে আপনার বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে আপনাকে মিথ্যা বলছেন না তা আপনি বুঝবেন কী করে? সব সময় লাই ডিটেক্টর সঙ্গে নিয়ে ঘোরা তো সম্ভব নয়। তবে কীভাবে ধরবেন মিথ্যেবাদীকে? ছোট্ট ছোট্ট কয়েকটি ক্লু, সেগুলো খেয়াল করুন আর হাতেনাতে ধরে ফেলুন 'চোর'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাঁচটি এমন সংকেত যা দেখে বুঝবেন কেউ আপনাকে মিথ্যে বলছে-


১. হাসি:- হাসি দেখেই পড়া যায় মানুষের মনের ভিতরটা। হাসি যেমন লুকিয়ে ফেলতে পারে মনের ভেতরের সত্যিটা, তেমন হাসিই ধরিয়ে দিতে পারে মিথ্যেটা। সত্যি হাসি সবসময় ধরা পড়ে চোখে। কিন্তু মিথ্যে হাসি থাকে শুধু ঠোঁটের কোণে। মিথ্যে কথা বলার সময় সেই হাসিতে লাল হয়ে ওঠে গাল। একটু খেয়াল করলেই ধরা পড়ে মনের ভিতরের উদ্বেগ। বড় হতে থাকে নাকের ফুটো, স্বাভাবিকের থেকে বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে মিথ্যেবাদী। যা দেখা সহজেই বোঝা যায় মাথা বলছে এক কথা আর মুখ বলছে অন্য কথা।


২.শরীরি ভাষা:- মিথ্যে কথা বললে বক্তার অজান্তেই বদলে যায় তাঁর শরীরি ভাষা। পাল্টে যায় গলার আওয়াজ, কথা বলার ভঙ্গী। সাধারণত যারা মিথ্যে কথা বলার সময় বক্তার হাত জড়ো করা থাকে সামনের দিকে অথবা হাত পিছনে করে রাখে। স্বাভাবিক ভাবে থাকে না। এই সময় সাধারণত তাঁরা কম কথা বলেন, খুব বেশি অন্য কাজকর্ম করেন না। শুধু যে কথা বলছেন তাতেই মনোযোগ দেন।


৩. কথা বলার ধরণ:- কথা বলার ধরণ দেখে বোঝা যায় কে মিথ্যে বলছে আর কে সত্যি বলছে। কথা বলার সময় যদি মানুষটির গলার আওয়াজ কমে, বাড়ে অথবা শ্বাসপ্রশ্বাসও কম বেশি ওঠা নামা করতে থাকে তবে বুঝতে হবে সামনের মানুষটি আপনাকে পুরো সত্যি কথা বলছেন না।


৪. কথা বলার সময় কী কী বলছেন:- উলটো দিকের মানুষটি কথা বলার সময় কেমন ধরণের কথা বলছেন তা খেয়াল করলে সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন সে মিথ্যে বলছে কিনা। সাধারণত মিথ্যে বললে বক্তা 'কিন্তু', 'যদি', 'এছাড়া', 'যেহেতু' এই ধরণের শব্দ বেশি ব্যবহার করে থাকেন। 'আমি', 'আমার' জাতীয় শব্দগুলো এড়িয়ে যান।


৫. ব্যবহারে পরিবর্তন:- একজন মানুষ রোজ যেমন ব্যবহার করেন হঠাৎ যদি তা বদলে যায় বা যে ধরণের কথা তিনি সাধারণত বলেন না, তা বলতে শোনা যায় তবে বুঝতে হবে তিনি কিছু লুকোচ্ছেন। আপনাকে সত্যি কথা বলছেন না।